Logo
Logo
×

কর্পোরেট নিউজ

প্রকৃত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি

Icon

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম

প্রকৃত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি

দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম পাদপীঠ সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়টির নান্দনিক স্থায়ী ক্যাম্পাস। জন্মলগ্ন থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বতন্ত্র ধারায় দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা যেন দেশেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভের সুযোগ পায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই ২০০২ সালে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিশনারি ট্রাস্টিবোর্ড শুরু থেকেই আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করণে বদ্ধপরিকর।

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে তিনটি অনুষদের অধীনে দশটি বিভাগ রয়েছে যেখানে মোট ষোলটি প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে। আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামসমূহ হলো-সিএসই, ইইই, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, বিবিএ, বিএ ইন বাংলা, বিএ ইন ইংলিশ, ইকোনমিক্স, এলএলল বি, এবং ফার্মেসী; এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলো হলো-এমবিএ, ই-এমবিএ, এলএলএম, এমএ ইন বাংলা, এমএ ইন ইংলিশ, এবং এমডিএস। একাডেমিক প্রোগ্রাম বিভিন্ন অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থা যথা- আইইবি, আইএবির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।

এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করার পাশাপাশি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে চাকরি করছেন। অনেকে আবার উদ্যোক্তা হিসেবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। 

দেশবরেণ্য শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা । একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান কেমন হবে, এর গ্র্যাজুয়েটরা ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য কতটুকু দক্ষ হবে তা নির্ভর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিক যত্নের ওপর। যোগ্য শিক্ষকরাই কেবল যোগ্য মানুষ গড়ে দিতে পারেন। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে খ্যাতিমান প্রথিতযশা অভিজ্ঞ অধ্যাপক ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের হাতে আলোর মশাল তুলে দিতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। ক্লাসরুমে এবং ক্লাসরুমের বাইরেও নানা বিষয়ে তারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বিকাশে সহায়তা করে যাচ্ছেন। 
সময় বদলেছে।

বর্তমান বিশ্বকে বলা হচ্ছে ‘এ গ্লোবাল ভিলেজ’। একটি গ্রামের মানুষের মধ্যে যে ধরণের পারস্পরিক জানাশোনা থাকে, সামাজিক সম্পর্ক থাকে, আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যানে বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের মধ্যেও একই ধরণের জানাশোনা এবং সামাজিক সম্পর্ক স্থাপিত হতে পারে। বর্তমান বিশ্বের জ্ঞানার্জন তাই, কোন একটি দেশের স্থানীয় মানদন্ডে হলে হবে না, তা অবশ্যই হতে হবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জ্ঞানের মাপকাঠিতে। সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি তাই প্রথাগত শিক্ষিত মানুষ গড়তে চায় না, চায় বিশ্বমানের দক্ষতায় উন্নীত প্রকৃত মানুষ গড়তে। তবে প্রকৃত মানুষ শুধু দক্ষতার মাপকাঠিতে মাপা যায় না।

তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়টি একজন শিক্ষার্থীকে বৈশ্বিক দক্ষতার পাশাপাশি মৌলিক মানবীয় গুনাবলী ও নৈতিক মানেও উন্নীত করতে চায়। শিক্ষর্থীদের শিক্ষণ ব্যবস্থায় ক্রিটিক্যাল থিংকিং এর উপর বিশেষ জোড় দেয় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এককথায়, প্রকৃত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। 

বর্তমান বিশ্বে কোন প্রতিষ্ঠান চাকরী প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীর সফটস্কিল কতটুকু আছে সেটা যাচাই করে। এ অবস্থায় শুধুমাত্র হার্ডস্কিল বা কর্মদক্ষতাই একজন প্রার্থীর চাকরীপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারছে না। একজন শিক্ষার্থীর সফটস্কিল ডেভেলপ করে তার বিভিন্ন কো-কারিকুলার কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার এন্ড প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস (সিপিডিএস) অফিসের অধীন ১৯টি সক্রিয় ক্লাব ও ফোরাম রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা ক্লাব কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সাংগঠনিক ও নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করে, যা তাদের ব্যক্তি ও কর্মজীবনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ পেশাজীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য দক্ষতাও নিশ্চিত করে সিপিডিএস। প্রফেশনাল ট্রেনিংসহ ক্যারিয়ার সহায়ক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে এ অফিসটি।

বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে আনতে চায় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এ লক্ষ্য অর্জনে গবেষণাসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপচার্য অধ্যাক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। তিনি বলেন, আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় শিক্ষা পরিবেশের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাবো যা আধুনিক, জুতসই ও টেকসই কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের প্রাজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দের সাথে আন্তর্জাতিক শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষকপ্রতি গবেষণা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত, আন্তর্জাতিক শিক্ষক অনুপাত, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অনুপাত নিশ্চিত করতে কাজ করে যাবে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। আমরা দক্ষ মানবসম্পদ নিশ্চিত করণে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া সম্পর্কের উপর জোর দিচ্ছি। এ লক্ষ্যে আমি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপকদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যেন আমরা যৌথ প্রচেষ্টায় ইন্ড্রাস্টির চাহিদামত গ্রাজুয়েট তৈরি করতে পারি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম