Logo
Logo
×

কর্পোরেট নিউজ

বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড আইএলওর প্রকল্প উদ্বোধন

Icon

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ১০:৫০ পিএম

বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড আইএলওর প্রকল্প উদ্বোধন

বাংলাদেশ এবং সুইজারল্যান্ড সরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সাথে আজ প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের টেকসই পুনঃএকত্রীকরণের জন্য একটি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করেছে।

প্রকল্পটি দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব এবং প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের টেকসইভাবে পুনঃএকত্রীকরণে বাস্তবায়িত হবে। প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীরা যেন দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী সিস্টেমসহ একটি জেন্ডার সংবেদনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকল্পটি কাজ করবে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত এই প্রকল্পটি যথাযথ প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণ এবং একটি কার্যকর সমন্বয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যা কার্যকরভাবে অভিবাসী কর্মীদের কর্মসংস্থান এবং ব্যবসায় উন্নয়ন সহায়তা পরিষেবা প্রদানে সহায়তা করবে। প্রকল্পটি আইওএম, ইউএন উইমেন এবং পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর  যৌথ অংশীদারিত্বে বাস্তবায়িত হবে।

স্বাগত বক্তব্যে, মো. সাইফুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বলেন, প্রকল্পটির অবদান অপরিসীম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ অর্জনে আমাদের সক্ষমতা বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করবে।

প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মো. মাজহারুল ইসলাম, আইএলও ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার, শ্রম অভিবাসনে আইএলও কর্তৃক প্রদত্ত কারিগরি সহায়তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা উপস্থাপন করেন। রাহনুমা সালাম খান, আইএলও ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার, প্রকল্পটির  উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা উপস্থাপন করেন।

প্রধান অতিথি শফিকুর রহমান চৌধুরী, এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বলেন, অভিবাসী শ্রমিকদের কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার দূরদর্শী উদ্যোগ এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বকে আমি আন্তরিকভাবে সাধুবাদ জানাই। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন অংশীদার এবং উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য এই সংযোগস্থল তৈরি করার জন্য আইএলও এবং সুইজারল্যান্ডের প্রতি আমার গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি এই প্রকল্পের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

কোরিন হেনচোজ পিনানি, ডেপুটি হেড অফ মিশন এবং হেড অফ কোঅপারেশন, সুইজারল্যান্ড দূতাবাস, বলেন, বিগত ১৪ বছরে সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে দেশের শ্রম অভিবাসন নীতির কাঠামো প্রণয়নে সহায়তা করে এসেছে এবং আমরা এই দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বে সন্তুষ্ট এবং আশাবাদী। 

বিশেষ অতিথি তানভীর শাকিল জয়, এমপি, চেয়ারপারসন, পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বলেন, আইএলওর ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা আমাদেরকে আরও অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংসদের সদস্য হিসেবে, আমরা নাগরিক সমাজের সংগঠন এবং তৃণমূল অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অভিবাসীদের মতামত জাতীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হচ্ছি।

মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি ককাসের চেয়ারপার্সন হিসেবে, আমি বিশ্বাস করি এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের নিরাপদ অভিবাসন এবং টেকসই পুনঃএকত্রীকরণের দিকে পরিচালিত করবে।

আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন বলেন, আইএলও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার হিসেবে অভিবাসী কর্মীদের জন্য টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ অর্জনে কাজ করছে। আমি আশাবাদী যে এই প্রকল্পটি নীতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে শক্তিশালীকরণ, অভিবাসীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রদান এবং অভিবাসী কর্মীদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করবে যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখবে। 

আমরা ইতিপূর্বে আইএলও-এর কারিগরি সহায়তায় পুনঃএকত্রীকরণসহ শ্রম অভিবাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমরা অতীত এবং বিদ্যমান অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো। কিন্তু এই বিশেষ প্রকল্পের অর্জন দীর্ঘস্থায়ী করাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ন। আমাদের দৃঢ় আইনি ও নীতিগত ভিত্তি রয়েছে যা বাস্তবায়নে কিছু বাধা রয়েছে। আমি আশা করি এই প্রকল্পটি যৌথ প্রচেষ্টার একটি ভাল উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।

মো. রুহুল আমিন, সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়. উক্ত প্রকল্পের উদ্বোধন এবং স্টেকহোল্ডারদের নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন অংশীদার, জাতিসংঘের সংস্থা, সামাজিক অংশীদার, শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তা সংস্থা, নিয়োগকারী এজেন্ট, নাগরিক সমাজ, একাডেমিয়া এবং মিডিয়া সহ বেসরকারি খাত উপস্থিত ছিলেন।

কোভিড-পরবর্তী সময়ে, বাংলাদেশ ২০২১ এবং ২০২২ সালে এশিয়ার শীর্ষ অভিবাসী কর্মী প্রেরণকারী দেশে পরিণত হয়েছে, যেখানে ২০২২ সালে দশ লাখেরও বেশি অভিবাসী কর্মসূত্রে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

অভিবাসী রেমিট্যান্স দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪০ শতাংশ যা তৈরি পোশাক খাতের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ২০১১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে, আইএলও- সুইজারল্যান্ড সরকারের সাথে অংশীদারিত্বে, বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মীদের অভিবাসন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, সামাজিক সুরক্ষা এবং তাদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করণে কাজ করেছে।

অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য পুনঃএকত্রীকরণ প্রকল্প: অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই পুনঃএকত্রীকরণের জন্য নীতি, সক্ষমতা এবং সিস্টেম বৃদ্ধি' শীর্ষক প্রকল্পটি  প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঠামো নিশ্চিতকরণ এবং একটি সার্ভিস সিস্টেম প্রবর্তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা।

প্রকল্পটি প্রত্যাগত কর্মীদের জন্য পুনঃএকত্রীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ এবং যথাযথ সিস্টেম এবং স্কিম প্রবর্তনের মাধ্যমে প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের অর্থনৈতিক পুনঃএকত্রীকরণে বিশেষ সহায়তা করবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসী কর্মীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা, এবং সক্ষমতাকে দেশে কাজে লাগিয়ে দেশে কর্মে নিযুক্ত হতে পারবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম