ফিলিস্তিনের ৫০ ছাত্রী বিনামূল্যে পড়াবে ড্যাফোডিল
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
ফিলিস্তিনের গাজার ৫০ ছাত্রীকে সম্পূর্ন বিনা খরচে পড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস.ওয়াই রামাদান সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) পরিদর্শন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সাথে এক সভায় মিলিত হন। তার এ পরিদর্শনকালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্থিনের গাজা এলাকার ৫০ জন ছাত্রীর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃত্তি প্রদানের কথা ঘোষণা করেন। সেই সাথে তাদের কৃষ্টি ও কালচারের সাথে সমন্বয় ঘটাতে ২ জন ফিলিস্তিনি শিক্ষককেও নিয়োগ দেয়া হবে।
এ বৃত্তির অধীনে ৫০ জন ছাত্রী চলতি বছরের ফল সেমিস্টারে একাডেমিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ সাপেক্ষ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃত্তি সহ ০১ জুলাই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন। এটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের অংশ হিসাবে বাংলাদেশ এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মহিলা আবাসিক হলগুলিতে আবাসনের সুবিধা প্রদান করবে। শিক্ষার্থীদেও গুনগত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের সাইকো সেশ্যাল সাপোর্টও নিশ্চিত করা হবে।
নির্বাচিত ছাত্র-ছাত্রীদের জীবিকা নির্বাহের বিষয়ে, ডিআইইউ ক্যাম্পাসে তাদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং অধ্যয়নের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত স্পনসর খুঁজতে একসঙ্গে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড.এম লুৎফর রহমান, উপ- উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদার, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাষ্টিবোর্ডের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বিভিন্ন অনুষদের ডীন, পরিচালকগণসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাব উপস্থিত ছিলেন।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করে, এই বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে ডিআইইউ উচ্চাকাঙ্খী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি ঘরোয়া এবং অনুকূল পরিবেশ প্রদান করতে সক্ষম হবে এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সমর্থনের একটি নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে।