ব্যয় সাশ্রয়ী রূফটপ সোলার জাতীয় গ্রিডের উপর নির্ভরতা কমায়
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
জাতীয় গ্রিডে লোডশেডিং হলে কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বিদ্যুতের জন্য বিকল্প উৎসের উপর নির্ভর করতে হয়। জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন পেট্রোলিয়াম ব্যবহৃত হয় যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আবার এসব জ্বালানি নবানযোগ্য নয়। সেক্ষেত্রে কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখতে রূফটপ সোলার একটি কার্যকর সমাধান।
মো. রেজাউল করিম, কোম্পানি সেক্রেটারি, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, সাভারস্থ কারখানার ছাদে স্থাপিত ২.৬৭ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার রূফটপ সোলার প্রকল্প নিয়ে একথা বলেন। মোট ১৪.২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এই প্রকল্প থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কেন অনুভব করলেন? প্রশ্ন ছিল মোঃ রেজাউল করিমের কাছে। তিনি বলেন, হাতিলের কারখানার ছাদ অব্যবহৃত পড়ে ছিল। আমরা সেটা ব্যবহার করার চিন্তা করলাম। ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি আর অর্থ সুবিধা দিয়ে থাকে তা আমরা জানতে পারলাম। আর দেখলাম ইডকল এর অর্থায়ন আমাদের জন্য লাভজনক। তখন আমরা এই প্রকল্প স্থাপনের জন্য উদ্দোগ নিলাম এবং লোন নিয়ে এটি স্থাপন করলাম।
বিদ্যুৎ যেকোনো শিল্প-কারখানার লাইফ লাইন। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হলে কারখানার উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে যা বিপুল লোকশানের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সৌর বিদ্যৎ প্রকল্প থেকে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ আহরণ করা সম্ভব এবং তা অন্য বিকল্প উৎস যেমন জেনারেটরে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে বেশ সাশ্রয়ী। একই সাথে তা পরিবেশ-বান্ধব। সবকিছু বিবেচনায় হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কারখানার ছাদে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করে।
‘আমরা সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে যে বিদ্যুৎ পাই তা পৃথিবী যতদিন পর্যন্ত আছে ততদিনই থাকবে। বিদ্যুতের এই উৎস নবায়নযোগ্য এবং ক্লিন, যা পরিবেশকে নিরাপদ রাখছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে একদিকে জাতীয় গ্রিডের উপর নির্ভরতা যেমন কমেছে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ ব্যয় উল্লেখযোগ্য কমেছে আর পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখিতে পারছি। পাশাপাশি এখানে কর্মসংস্থানেরও সুযোগও তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য শক্তির অন্যতম জনপ্রিয় উৎস হয়ে উঠছে সৌর বিদ্যুৎ। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করতে হয় না বলে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে কার্বন নিরসন হয় না, ফলে পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। বিশ্বের নানা দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কারখানায় স্থাপন করা হচ্ছে রুফটপ সোলার সিস্টেম। ছাদের সৌর পদ্ধতি সৌর প্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ভৌত এবং বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়া সূর্যালোককে বিদ্যুতে রূপান্তর করে।
ইডকল বাংলাদেশের রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক বহির্ভূত একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি খাতের জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়ন অর্থায়নের শীর্ষস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন কারখানা বিশেষ করে তৈরি পোশাক, পাটকল, সিরামিক্স, আসবাব নির্মাণ কারখানার ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন কার্যক্রম সম্প্রসারণ জোরদার করেছে এবং প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প-কারখানার মালিকদের উদ্বুদ্ধ করছে।