ক্ষতিকর প্যারাবেনমুক্ত শ্যাম্পু ও সুদিং জেল বাজারে আনল লিলি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩০ পিএম
স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধে সংকল্পবদ্ধ পারসোনাল কেয়ার ব্র্যান্ড লিলি বাজারে নিয়ে এলো প্যারাবেনের ঝুঁকিমুক্ত লিলি সুদিং জেল এবং লিলি সিলকোর হেয়ার ফল ডিফেন্স ও সিল্ক অ্যান্ড শাইন শ্যাম্পু।
রিমার্ক এলএলসি, ইউএসএ অ্যাফিলিয়েটেড এই ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো তাদের নিজস্ব স্টেট অব দ্য আর্ট প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটিতে, উৎপাদন করে থাকে। ক্ষতিকর রাসায়নিকমুক্ত প্রতিটি পণ্যের আন্তর্জাতিক গুণগত মান নিশ্চিত করতে পুরো সময় নিরলসভাবে কাজ করে গেছে লিলি’র গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম। ফলে বাজারের অন্যান্য পণ্যে প্যারাবেনের উপস্থিতির খবর পাওয়া গেলেও লিলি ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ও সুদিং জেলে প্যারাবেনের অস্তিত্ব নেই। এই পণ্যগুলো ডার্মাটোলজিক টেস্টেও প্রমানিত।
রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ’র হোম অ্যান্ড পারসোনাল কেয়ারের অপারেটিভ ডিরেক্টর হাসান ফারুক বলেন, সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে জনপ্রিয় বেশ কিছু ব্যক্তিগত পরিচর্যা পণ্যে বিপজ্জনক মাত্রায় ক্ষতিকর রাসায়নিক ‘প্যারাবেন’ পাওয়া গেছে। মরণব্যাধি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানো ছাড়াও এর আরও অনেক ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। কমদামী পণ্যে ক্ষতিকারক যেসব উপাদান থাকে যেমন লেড, বেনজোফেনন, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, মার্কারি– এইসব ক্ষতিকর হেভি মেটাল উপাদান যেন কোনভাবেই তাদের কোন পণ্যে না থাকে তা সতর্কতার সাথে নিশ্চিত করে লিলি। আর এসব উপাদানের ক্ষতি এড়াতে আমরা আমাদের ভোক্তাদেরও উৎসাহিত করে থাকি মানসম্পন্ন পণ্য ব্যবহারের জন্য।
ন্যাচারাল অয়েল এর গুণাবলি সমৃদ্ধ লিলির সিলকোর শ্যাম্পুর দুইটি ভ্যারিয়েন্ট সিল্ক অ্যান্ড শাইন এবং হেয়ার ফল ডিফেন্স জট ছাড়িয়ে চুলকে করে রেশমি ও উজ্জ্বল। অন্যদিকে নায়াসিনামাইড ও হায়ালুরনিক এসিড সমৃদ্ধ, এলোভেরা ও কিউকাম্বার ভ্যারিয়েন্টের লিলি সুদিং জেল, প্রয়োজনীয় পুষ্টি যুগিয়ে ত্বকে এনে দেয় এক স্নিগ্ধ, প্রশান্তিদায়ক অনুভূতি। প্যারাবেন এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর কেমিক্যালমুক্ত এই পণ্যগুলো পরিবারের সবার চুল ও ত্বকের যত্নে আদর্শ।
বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজারজাত করা হ্যান্ডওয়াশে বিপদজনক মাত্রায় রাসায়নিক ‘প্যারাবেন’ পাওয়া গেছে, যা মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াবে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনির সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এ গবেষণায় সাতটি অন্যান্য দেশের পণ্যের নমুনাও বিশ্লেষণ করা হয়। কিন্তু দেখা গেছে যে, বাংলাদেশি পণ্যগুলোতেই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় প্যারাবেন ব্যবহার করা হয়। প্যারাবেন হলো প্রিজারভেটিভের মত এক ধরনের রাসায়নিক যা সাধারণত প্রসাধনী, পারসোনাল কেয়ার প্রোডাক্ট এবং ওষুধপত্রের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্যারাবেন কম ব্যয়বহুল এবং সহজলভ্য হওয়ার কারণে উৎপাদনকারীরা এটি বেশি পরিমাণে ব্যবহার করে থাকেন। প্রজনন সমস্যা, ক্যানসারের ঝুঁকি, হরমোনাল ইমব্যালেন্সের জন্য অনেকেই প্যরাবেনকে দায়ী করে থাকেন। এ কারণে বেশ কয়েকটি দেশ তাদের পণ্যগুলোতে প্যারাবেনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের প্রতিবেদককে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজধানীর একজন গৃহিণী বলেন, “জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি প্যারাবেন ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে”।
এসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার এন্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স বাংলাদেশ এর সভাপতি জনাব আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, কোনো কোনো ব্যবসায়ী শুধু মুনাফা অর্জনের জন্য ক্ষতিকর পণ্য বাজারজাত করে থাকে। কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ভোক্তাদের স্বার্থের ব্যাপারটিও বিবেচনায় নেয়া উচিত।