ইউনিলিভার বাংলাদেশের এফআইসিসিআই ডিইআই চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড অর্জন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৯ পিএম
দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) ‘স্টার ডিইআই টিম অব দ্য ইয়ার’ এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
ফরেইন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফসিসিআই) তাদের ’৬০ ইয়ার্স সেলিব্রেশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো ২০২৩’ এ ইউবিএল-কে এ সম্মাননা প্রদান করে।
আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউনিলিভার বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি (ইনফরমেশন অ্যান্ড কম্যুনিকেশন টেকনোলজি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সেক্রেটারি জাকিয়া সুলতানা। ইউনিলিভার বাংলাদেশে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩৯.২৫% মালিকানা রয়েছে।
একটি বৈচিত্র্যময়, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মশক্তি তৈরির এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পূরণে অনন্য দৃষ্টান্ত অর্জন করায় এ ক্যাটাগরিতে প্রথমবারের মতো ইউনিলিভার বাংলাদেশকে (ইউবিএল) এফআইসিসিআই ডিইআই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের পুরো কার্যক্রম জুড়ে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রোঅ্যাক্টিভ ট্যালেন্ট ম্যাপিংকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটির ডিইআই অর্থ্যাৎ ডাইভার্সিটি, ইকুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন। এ জন্য রিজিওনাল সেল্স এর মতো পুরুষ-প্রধান পদের স্টেরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করতে নারীদের নিয়োগের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷ এক্ষেত্রে রিজিওনাল সেল্স নয়, বরং রিজিওনাল সেল্স হেড এর মতো পদবীতে নারীদের থাকার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। ইউনিলিভার বাংলাদেশই প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা আরএসএম ম্যানেজার হিসেবে এবং ফ্যাক্টরি কার্যক্রমে রাতের শিফটে নারীদের নিয়োগ দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি প্রগতিশীল নীতিমালা প্রণয়ন ও অনুশীলনের পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটি, বিনিময়যোগ্য ছুটি, এবং কর্মচারীদের মানসিক সুস্থতায় ব্যাপক সহায়তা কর্মসূচির মতো বিভিন্ন অবকাঠামো ও নীতিমালায় বিনিয়োগ করে। আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট সহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করে ইউবিএল, যা বিশ্বব্যাপী দক্ষতা তৈরিতে এবং আরও দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়ন করে।
কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করার এ অনন্য উদ্যোগ শুধু ইউনিলিভারে কাজ করা ব্যক্তিদেরই নয়, বরং ভ্যালু চেইনে যুক্ত সকলকেই প্রভাবিত করে। কোম্পানিটি বিশেষায়িত প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করে যা সারা বাংলাদেশে এবং ফ্যাক্টরি টিমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে নারীর সক্ষমতা এবং কর্মসংস্থান তৈরিতে কাজ করে। এ উদ্যোগ তৃণমূল পর্যায়ের রূপান্তরকে পরিচালনা করার পাশাপাশি সমগ্র ইকোসিস্টেমকে প্রভাবিত করছে।
নেতৃত্বের পর্যায়ে নারীদের প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি একটি নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সংস্কৃতি গড়ে তোলাই ইউবিএল-এর উদ্দেশ্য। এছাড়া সকল নেতৃত্ব স্তরে বৈচিত্র্যময় প্রতিনিধিত্বকে ত্বরান্বিত করা, ২০২৫ সালের মধ্যে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে ৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী কর্মীর সমন্বয়ে একটি কর্মশক্তি তৈরি করা এবং বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ডাইভার্স গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করাও এর অন্তর্ভুক্ত। ইউবিএল এর এ সকল লক্ষ্য এফআইসিসিআই এর জুরি প্যানেল দ্বারা প্রশংসিত হয়, যা সংস্থার এ অর্জনে অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এর হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টর সৈয়দা দুরদানা কবির বলেন, “প্রথমবারের মতো ইউবিএল এর এফআইসিসিআই ডিইআই অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি ডাইভার্সিটি, ইকুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশনের (ডিইআই) প্রতি প্রতিষ্ঠানের অটল প্রতিশ্রুতি উপর গুরুত্বকে তুলে ধরে। প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে হিসেব করলে ডিইআই-এর যাত্রায় আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।
কেননা ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে প্রথম দিকে নারীদের উপস্থিতি ১০ শতাংশ থাকলেও ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা এবং দেশের প্রতিভা বিকশিত করতে ‘লিগ অফ ফিউচার লিডারস’-এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত ইউনিলিভার বাংলাদেশ, বর্তমানে ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে (সিএক্সও’জ) সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পর্যায়ে নারী-পুরুষের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে অসাধারণত্ব অর্জন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে স্টেরিওটাইপকে চ্যালেঞ্জ করার সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে।
যেখানে মূল কৌশলগত সিনিয়র পদে নারীদের নিয়োগে আস্থা রাখার পাশাপাশি তাদের কাঠামোগত শিক্ষা, উন্নয়ন ও পরিকল্পনার মাধ্যমে তাদের সফল হতে সক্ষম করে। আমরা দেশজুড়ে বৈশ্বিক প্রগতিশীল নীতি ও অবকাঠামোগত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করেছি, যাতে মানুষ সকল বাধা অতিক্রম করে তাদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। প্রতিষ্ঠানের ফ্রন্টলাইন থেকে বোর্ডরুম পর্যন্ত আমরা এমন একটি সংস্কৃতি লালন করতে বদ্ধপরিকর, যেখানে সমস্ত ব্যক্তিকে সম্মান করা হয় এবং তাদের অনন্য সক্ষমতার জন্য স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এই পুরস্কার আমাদের সকলের জন্য একটি অসাধারণ অনুপ্রেরণা। কর্মক্ষেত্রে ও সমাজে একটি প্রভাব তৈরি করতে আমাদের ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ডিইআই স্থাপনে আমরা কাজ চালিয়ে যাব।”
সাম্প্রতিক সময়ে, ইউনিলিভার জাতীয় পর্যায়ে একাধিক পুরস্কার পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ‘বাংলাদেশ সি-সুইট অ্যাওয়ার্ডস’, এসিসিএ থেকে প্ল্যাটিনাম ক্যাটাগরিতে প্রাপ্ত ‘অ্যাপ্রুভ্ড এমপ্লয়ার ট্রেইনি ডেভেলপমেন্ট’ অ্যাওয়ার্ড এবং অন্যান্য স্বীকৃতির মধ্যে রয়েছে ‘কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’।