জাপানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেল ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ১০ শিক্ষার্থী
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:১৬ পিএম
জাপানের টোকিও ও ওসাকা শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ পেয়েছেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ১০ জন শিক্ষার্থী। জাপান ও বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম’ বিষয়ে এক সমঝোতা চুক্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ পেলেন।২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে তারা কর্মস্থলে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
চুক্তির আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ১০জন শিক্ষার্থী জাপানে ছয় মাস থেকে এক বছরের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করতে পারবেন। ইন্টার্ন চলাকালে তারা বেতনও পাবেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে আটজন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দুজন রয়েছেন। সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন মো. মইনুল ইসলাম জীবন ও মো. ইব্রাহীম খলিল। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বেলায়েত হোসেন, রাকিব হোসেন, রত্মা আক্তার বাঁধন, সাকলান জামান প্রান্ত, আদনান রহমান, মো. মনসুরুল হক রাশেদ, উম্মে সুমাইয়া হোসেন ও মো. সাব্বির রহমান সাকিল।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার সার্ভিস অফিসের মাধ্যমে এই ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য ১৪০জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। সেসব আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর টোকিও ও ওসাকা শহরের প্রতিষ্ঠান দুটির কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নিয়ে গত ১৬ নভেম্বর ১০জন শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপ চূড়ান্ত করে। ইন্টার্নশিপ প্রক্রিয়া সমন্বয় করছেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুর রহমান। তত্বাবধানের দায়িত্বে আছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অফিস।
শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপপ্রাপ্তি উপলক্ষে ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিভার্সিটির সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজ্জম। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইন্টার্নশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। সন্তানদের এমন সাফল্যে অভিভাবকেরা ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শামসুল হুদা, বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্বাস আলী খান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. এস এম সিরাজী, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপারসন রওশন আরা, এমবিএ ও ইএমবিএ’র পরিচালক তাসনুভা রহমান, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারপারসন আবু বিন ইহসান এবং রেজিস্ট্রার ড. আবুল বাশার খান।