Logo
Logo
×

কর্পোরেট নিউজ

হাওড় অঞ্চলে কৃষির উন্নয়নে কর্মশালা

Icon

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩১ পিএম

হাওড় অঞ্চলে কৃষির উন্নয়নে কর্মশালা

১৯ নভেম্বর বেলা ১০.০০ টায় ঢাকার ফার্মগেটে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্টের (Flood Reconstruction Emergency Assistant Project (FREAP) আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

ফ্লাড রিকনস্ট্রাকশন ইমার্জেন্সি এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্রিপ) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি ও Mr. Jaingbo Ning, Deputy Country Director. এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত ও প্রকল্পের কি নোট উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. তৌফিকুর রহমান।

কৃষি সচিব মিসেস ওয়াহিদা আক্তার বলেন, হাওড় এলাকায় ফসল উৎপাদনে আগাম ও আকস্মিক বন্যা, সেচের পানির অপ্রতুলতা ইত্যাদি নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবি'র অর্থায়নে ফ্রিপ  প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিভিন্ন ধরনের সেচ অবকাঠামো নির্মান ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে অনবাদী জমি আবাদের আওতায় আনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে পারবে।

নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিএআরসি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও সঠিক দিক নির্দেশনায দেশ ইতোমধ্যেই দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু তারপরও আমাদের নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় যেমন- কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কৃষি জমির হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ক্রমহ্রাসমান জমির উর্বরতা ইত্যাদি। 

এক্ষেত্রে (ফ্রিপ) প্রকল্পটি গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত সর্বশেষ টেকসই জাত ও ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।

ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং বলেন, ফ্রিপ প্রকল্প হাওড় অঞ্চলের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং টেকসই জীবিকায়নে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের সাথে এ প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত।

অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ফলে খাদ্যশস্য, সবজি ও ফল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে এবং ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি এ প্রকল্পের জলবায়ু অভিঘাত সহনশীল বিভিন্ন ফসল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাওড় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের কারিগরী সেশন পরিচালনা করেন মো: রেজাউল করিম, পরিচালক, পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং আইসিটি উইং, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারূপ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক ও প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, গবেষণার বিজ্ঞানীবৃন্দ, কৃষক প্রতিনিধি, কৃষক উদ্যোক্তা ও দাতা সংস্থা'র কর্মকর্তা সহ ২৫০ জন অংশগ্রহন করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম