সামিট এবং জেরার দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের জ্বালানি সরবরাহে যৌথ বিনিয়োগের সমঝোতা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:০৮ পিএম
আজ সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের অধীনে সামিট কর্পোরেশন এবং জেরার অধীনে জেরা-এশিয়া, মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিবর্গ- সালমান এফ রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, জুনাইদ আহ্মেদ পলক, মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিএসইসি, লোকমান হোসেন মিয়া, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিডা এবং জাপানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা- ইওয়ামা কিমিনোরি, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত, নোরিহিকো ইশিগুরো, চেয়ারম্যান, জেট্রো সহ সামিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান ও সামিট কর্পোরেশনের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক ফয়সাল খান।
তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জেরা-এশিয়ার সিইও তোসিরো কুদামা এবং সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের সিইও এবং এমডি আয়েশা আজিজ খান এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের এই সমঝোতায় অন্তর্ভুক্ত আছে একত্রে সুলভ মূল্যে, নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘ-মেয়াদী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও অন্যান্য জ্বালানি সরবরাহ সহ উপকূলে ও সমুদ্রতীর দূরবর্তীতে সংরক্ষণাগার ও পুনরায় গ্যাসীকরণ অবকাঠামো উন্নয়ন।
জেরা-এশিয়ার সিইও তোসিরো কুদামা বলেন, “বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্য অর্জনে জেরা সহায়তা করতে আগ্রহী এবং সেই উদ্দেশ্য সামিটের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট করতে পেরে আমরা আনন্দিত। জ্বালানি সরবরাহের উদ্দেশ্য অর্জনে, এই সমঝোতা একটি উল্লেযোগ্য প্রথম ধাপ। জেরা সামিটকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখতে আগ্রহী।”
সামিটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, “একটি দেশের জ্বালানি ব্যায়কেই এখন তার সমবৃদ্ধির মাপকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়। উচ্চ সুদের হার, বিঘ্নিত সরবরাহ ব্যবস্থাপনা আর (জ্বালানি) বাজারের অস্থিরতার কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সামিট, জেরাকে সাথে নিয়ে এলএনজির প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ ও সরবরাহ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে একটি সমাধানের প্রস্তাব করছে।”
বাংলাদেশ যখন এগিয়ে চলছে ২০২৬ সালের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের দিকে, সেই সময় বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজারের অস্থিরতার সম্মুখীন বাংলাদেশ। সামিট এবং জেরার এই যৌথ উদ্যোগ বিকল্প জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি আমদানি ব্যয় কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে চায়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন আইএমএফ-এর আরএসএফ তহবিলের পরিকল্পনার সাথে মিল রেখে, তুলনামূলক বেশি আমদানির কারণে যে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ে ভারসাম্যহীনতা আছে , তা কমাতে সাহায্য করবে।
জেরা সম্পর্কে: জেরা একটি বৈশ্বিক জ্বালানি কোম্পানী যার প্রধান দক্ষতা হলো জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনার পুরোটা জুড়ে কাজ করবার সক্ষমতা এবং যার ব্যাপ্তি এলএনজি ও অন্যান্য জ্বালানি প্রকল্পে অংশগ্রহন, (জ্বালানি) পরিবহন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে, সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২% আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ার অধিগ্রহনের মাধ্যমে জেরা সামিটের কর্পোরেট মানদন্ড বৃদ্ধির প্রচেষ্টা করে চলেছে যেমন, ডিকারবোনাইজেশন এবং দক্ষ অবকাঠামো নির্মাণ। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে, জেরা সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের সাথে আরো একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার ফলশ্রুতিতে জেরা সামিটের ডিকারবোনাইজেশনের জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.jera.co.jp
সামিট গ্ৰুপ সম্পর্কে: সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি গ্রুপটি বাংলাদেশের বৃহত্তম স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (আইপিপি)। সামিট জাতীয় গ্রিডে প্রায় ২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ)-এর মালিকানা ও পরিচালনার দায়িত্বে আছে, যা দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি পুনরায় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তরিত করতে সক্ষম। সামিট একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামিট ২০১৯ সালে জেরার কাছ থেকে বিনিয়োগ গ্রহণ করে এবং তারা সামিটের পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.summitpowerinternational.com