Logo
Logo
×

কর্পোরেট নিউজ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখবে আকিজ বশির গ্রুপ

Icon

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:২৩ পিএম

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অবদান রাখবে আকিজ বশির গ্রুপ

আকিজ বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, ১৬ টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশকে শিল্পায়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আকিজ বশির গ্রুপ।  শুধু তাই নয়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে এই গ্রুপটি বড় অবদান রাখার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, এই গ্রুপটি মাত্র এক বছরে দেশের সবচেয়ে বড় টেবিলওয়্যার কোম্পানী হয়ে ওঠেছে, শুধু কোম্পানির মানুষের আন্তরিকতা ও প্রযুক্তির কারণে সম্ভব হয়েছে।  আমরা দুটি জিনিসের সমন্বয় করতে পেরেছি - পাট একটি পণ্য কিন্তু টেবিলওয়্যার একটি কারিগর পণ্য। টাইলসের ক্ষেত্রেও আমরা যথেষ্ট নতুনত্ব এনেছি এবং নিয়ে আসছি। বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে আমরা তিন বছরের জন্য ইংল্যান্ডে স্যানিটারিওয়্যার রপ্তানি করছি।

এ কোম্পানিতে জনবলের কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে সাড়ে ২৩ হাজার থেকে ২৪ হাজার দক্ষ কর্মী ও কর্মচারী কাজ করছে। আমরা টেবিলওয়্যারেও ব্যবসায়ও প্রচুর লোক নিয়োগ দিচ্ছি। 

গ্রিন ইনিশিয়েটিভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি যখন এটি শুরু করেছি এবং আমাদের খাদ্য ও পানীয় ব্যবসার জন্য এটি করেছি, তখন আমি এটি চালাতাম। এটি খুব ফলপ্রসূ ছিল। এটি নিজের জন্য অর্থ প্রদান করেছে। ২০০৭-২০০৮ সালে আমি সেই আইডিয়ায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম এবং সেই সময়ে ফ্রান্সের বিখ্যাত ওয়াটার কোম্পানি, এভিয়ানের সঙ্গে কাজ করেছি।  

পিতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমার বাবা মরহুম শেখ আকিজ উদ্দীন ৫০ এর দশকে আকিজ গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সময়ের সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের কোম্পানিটি বড় এবং খুব বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে।

কোম্পানির ইতিহাস একটু খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন বর্তমানে আমরা যারা দ্বিতীয় প্রজন্ম তারা কোম্পানিটি চালাচ্ছি আর তৃতীয় প্রজন্ম হয়তো আর কিছুদিন পর আমাদের পথ অনুসরণ করবেন। বাস্তবতা হলো ব্যবসার বৈচিত্র্য এবং বিস্তৃতির আনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট উনিটের দলগতভাবে কাজ করা দরকার এবং সেসব ক্ষেত্রে মানানসই নেতৃত্ব দরকার। 

তিনি আরও বলেন, পার্টিকেল বোর্ড ব্যবসা, সিরামিক ব্যবসা এবং ফেলক্সিবল ফিল্ম ব্যবসা এই ব্যবসায়গুলো আগে থেকেই আকিজ গ্রুপের অংশ হিসেবে ছিল। এছাড়া এই গ্রুপের বাইরে থেকে আমরা আরও কিছু ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমরা তিনটি জুট কোম্পানি অধিগ্রহণ করেছি। 

পাটকল বিষয়ে বলেন, আমরা যে পাটকলগুলো অধিগ্রহণ করেছি সবগুলোই বেসরকারি। আমরা সরকারের কাছ থেকে কোনো মিল নিই না। যখন আমরা এই সংস্থাগুলোকে অধিগ্রহণ করি, তখন তাদের যৌথ ব্যবসার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৯০০০ টন। আমরা আশা করছি এ বছর আমরা ৯০,০০০ টনে পৌঁছাবো। 

চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সঙ্গে আমরা একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আমাদের সাথে প্রায় পাঁচজন পিএইচডি স্কলার কাজ করছেন। আমরা পাটের বীজ, পাটের রেটিং, প্রক্রিয়াকরণ, পাটের মাইক্রোবায়োলজিক্যাল উপাদানগুলিতে প্রচুর বিনিয়োগ করছি যার মাধ্যমে পাটের ফাইবার শক্তিশালীকরণ এর কাজ করা হয় এবং পাটকে আরও হালকা করা যায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম