দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে কাইকম-ওয়াতামি গ্রুপের মধ্যে চুক্তি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
বাংলাদেশে বিশ্ব বাজারের চাহিদার দিক বিবেচনায় নিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের কাইকম এবং জাপানের ওয়াতামি গ্রুপ।
এ লক্ষ্যে এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ন্যাসেন্ট গার্ডেনিয়া হোটেলে একটি চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠান হয়।
মূলত এই উদ্যোগটির উদ্দেশ্য হচ্ছে—কাইকম ড্রিম স্ট্রিট কোম্পানি লিমিটেড গঠন; যেটি জাপানি কোম্পানিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাংলাদেশি মানবসম্পদ তৈরি করবে। যা টিআইপিটি (প্রযুক্তিগত ইন্টার্ন ট্রেনিং পোগ্রাম) এবং এসএসডব্লিউ (নির্দিষ্ট দক্ষ কর্মী) পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেচেন যে, এই উদ্যোগের ফলে দুদেশের মধ্যে কর্মশক্তির ব্যবধান কমবে এবং পাশাপাশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকায় জাপানি রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল কাদের এবং ওয়াতামি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও জাপানের সাবক সংসদ সদস্য মিকি ওয়াতানাবে। সম্মানিত অতিথি ছিলেন জেট্রো বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইউজি আন্দো, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেডের (বিওইএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার। অনুষ্ঠানে ছিলেন ১৫ টিরও বেশি জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধি যারা বহু বছর ধরে বিভিন্ন দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করছেন।
ওয়াতামি এজেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জুন ওনেদার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কাইকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অঞ্জন দাস।তিনি তার বক্তব্যে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে কাইকম ও ওয়াতামি গ্রুপের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় জাপানি রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশ থেকে জনবল নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো জাপানে দক্ষ মানবসম্পদ রফতানির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। উইন উইন অংশিদারিত্বের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি বলেন, ২০২২ সালে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই বছরই বাংলাদেশে মেট্রো রেল চালু করেছে; যেই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেছে জাইকা। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু সেতু, শাহজালাল বিমানবন্দরের সেৌন্দর্যবর্ধণসহ নানা প্রকল্পে জাইকা কাজ করছে। পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে জাপান।
কাইকম গ্রুপ জাপানের একটি বিখ্যাত সফটওয়্যার এবং পরামর্শ পরিষেবা কোম্পানি; যারা ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে তাদের জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার এবং বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট সার্টিফিকেশন (জেপিটি) চালু করেছে। মূলত তারা সার্টিফাইড দক্ষ জাপানি ভাষা শিক্ষার্থী তৈরিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।