Logo
Logo
×

কর্পোরেট নিউজ

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ ও স্বাস্থ্য বিভাগ

Icon

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:০৯ পিএম

বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ ও স্বাস্থ্য বিভাগ

করোনা মহামারী কারণে ২০২০ সালের পর টঙ্গী তুরাগ নদীর পারে এ বছর দুটি পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমায় দুটি পর্বে আগত মুসল্লীর সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। আগত মুসল্লিরা ঠান্ডা, কাশি, ডায়রিয়া সহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুস্ললিদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও গাজীপুর সিভিল সার্জন অফিস এবং শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইজতেমার জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সংগ্রহ করে তত্ত্বাবধায়ক, শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতাল এবং সিভিল সার্জন, গাজীপুর ও ঢাকাকে সরবরাহ করেছে। 

সিভিল সার্জন, গাজীপুর এর তত্ত্বাবধায়নে হোন্ডা গেট, বাটা গেট, মুন্নু গেট (অলিম্পিয়া স্কুল মাঠ) এ এবং বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ ক্যাম্প সহ মোট চারটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন, ঢাকার তত্ত্বাবধায়নে তুরাগ নদীর পশ্চিম তীরে বালুর মাঠ সংলগ্ন ও তুরাগ নদীর পশ্চিম তীরে পানির পাম্প সংলগ্ন দুইটি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ উপলক্ষ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অলিম্পিয়া স্কুল মাঠ, টঙ্গী, গাজীপুরে আস্থায়ী কোভিড-১৯ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ক্যাম্পের মাধ্যমে ফ্রি স্যাম্পল সংগ্রহ, এন্টিজেন্ট টেস্ট, আরটিপিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বার্তা প্রদান করছে।

বিশ্ব ইজতেমার আগত মুসল্লীদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য মোট বারটি মেডিকেল টিম, ছয়টি বিশেষায়িত মেডিকেল টিম, একটি কন্ট্রোল রুম টিম, একটি স্বাস্থ্য শিক্ষা টিম, একটি প্যাথলজী টিম, একটি রেডিওলজী টিম, একটি ফার্মাসিস্ট টিম ও এগারোটি স্যানিটারী ইন্সপেক্টর টিম গঠন করা হয়েছে। উক্ত মেডিকেল টিম সমূহে ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৫১ জন চিকিৎসক, ৪ জন ডেন্টাল সার্জন সহ ফার্মাসিস্ট, এসএসসিএমও, এমটি (ল্যাব), এমটি (রেডিও), এইচআই, এএইচআই, অফিস সহায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে মোট ১৯৬ জন কাজ করছেন। এছাড়াও বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ময়দানের আশেপাশে খাবারের দোকান পরিদর্শনে ২৫ (পঁচিশ) জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর খাদ্য নিরাপত্তা পরিদর্শক হিসেবে কাজ করছেন। প্যাথলজি পরীক্ষার জন্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের ল্যাবরেটরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল টেকনোলিজিস্ট (ল্যাব) ও ল্যাব সহকারী পদায়ন করা হয়েছে। ইজতেমায় গুরুতর রোগী বহনের জন্য সার্বক্ষনিক ১৪ চৌদ্দটি এ্যাম্বুলেন্স নিয়োজিত রয়েছে। প্রথম পর্বে আগত মুসল্লীদের মধ্যে উক্ত অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প ও হাসপাতালের মাধ্যমে মোট ১৭,৬২৬ জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। এর মাঝে চার জন মৃত্যু বরণ করেছেন। এছাড়াও খাবারের দোকান সমূহে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২৯ টি মামলা এবং ৯৬,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

মনিটর, সুপার ভিশন, ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কাজের জন্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সিভিল সার্জন, গাজীপুর এর সভাপতিত্বে ৫(পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট জেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, টঙ্গী, গাজীপুরের সভাপতিত্বে ৫(পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা ২০২৩ উপলক্ষ্যে মসুল্লীদের মাঝে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও তথ্য সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শণ ও লিফলেট প্রস্তুত করে বিতরণ করা হয়েছে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম