বাউবি’তে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণা অনুদানের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে ১০ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণা অনুদান প্রদানের লক্ষ্যে গবেষকগণের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয় ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে আমদের বিজয় পূর্ণতা লাভ করেছিল। তাই বাউবি’র ইতিহাসে আজকের চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে গবেষকগণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে যা থেকে ভবিষৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আরও ব্যাপকভাবে জানতে পারবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে দেশে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় উপাচার্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। গবেষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্য সমৃদ্ধ গবেষণা প্রতিবেদন যথাসময়ে সম্পন্ন করার জন্য উপাচার্য গবেষকগণকে আহবান জানান।
বাউবি’র পক্ষে ০৩ (তিন) জন গবেষকের সাথে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন তাঁর বক্তব্যে বলেন বাউবি মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র প্রথম বারের মত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে একটি মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করার অভিনন্দন জানান এবং কেন্দ্রের গবেষণা প্রতিবেদন সমূহ পুস্তক আকারে প্রকাশের আশা ব্যক্ত করেন। তিনি নবীন ও প্রবীণ উভয় গবেষকদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান।
গবেষকগণের মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান তাঁর বক্তব্যে বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সার্থকতা লাভ করেছিল। গবেষকগণ মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণা অনুদান প্রদানের এরূপ মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করায় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম।