Logo
Logo
×

কর্পোরেট নিউজ

জাতীয় বীরদের গল্প অপো গ্যালারিতে

Icon

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:২১ পিএম

জাতীয় বীরদের গল্প অপো গ্যালারিতে

বিজয়ের এই মাসে দারুণ মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অপো বাংলাদেশ। বাস্তবের জাতীয় নায়কদের খুঁজে বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই তালিকায় রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা, নারী উদ্যোক্তা, সংগ্রামী মা, ছাত্র-ছাত্রী, কৃষক, জেলে শ্রমিক ইত্যাদি শ্রেণী-পেশার মানুষ। যারা নিজেদের জীবন-সংগ্রামের মাধ্যমে জাতীয় জীবনে অবদান রাখছেন নিরন্তন। তারপর এসব বাস্তবের নায়কদের গল্প সবার সামনে তুলে ধরছে।

অন্যকে উদ্বুদ্ধ করতে অপো গ্যালারির মাধ্যমে ছবি আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।অ্যালবামের একেকটি ছবি এক একটি যুদ্ধ জয়ের নাম। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে অপোর এ উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বুরো বাংলাদেশ।

‘স্টোরিজ অব হিরোজ’ নামে অপোর এই ক্যাম্পেইন শুরু হয় গত ১২ ডিসেম্বর। অনলাইন, অফলাইন ও ডিজিটাল প্রায় সব মাধ্যমে এ উপলক্ষে প্রচারণা চালায় তারা। মানুষকে ক্যাম্পেইনে উৎসাহিত করতে স্বনামখ্যাত ফটোগ্রাফার প্রীত রেজা ঘুরে ঘুরে সংগ্রামী মানুষের গল্পগুলো ছবির মাধ্যমে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। নিচে এমনই উল্লেখযোগ্য কিছু জীবন সংগ্রামের কথা জেনে আসা যাক।

মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল ২নং সেক্টরের অধীনে পুরান ঢাকার লালবাগের আজিমপুর প্লাটুনে যুদ্ধ করেন। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তিনি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। 

বাংলাদেশ কিলো ফোর্স এর হয়ে যুদ্ধ করে বিমান হামলার মাধ্যমে তিনি শত্রুদেরভীত কাঁপিয়ে দেন। সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে রণকৌশলের কারণে পরবর্তীতে তিনি বিচ্ছু জালাল নামে পরিচিতি লাভ করেন। একপর্যায়ে তিনি পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে ধরা পড়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন। 

দেশ স্বাধীন হলে তিনি মুক্তিলাভ করেন। পরবর্তীতে তার এমন বীরত্ব গাঁথার কাহিনী চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বিচ্ছু জলিল মানেই বাংলাদেশ। শত শত বছর ধরে এমন সংগ্রামী কাহিনী স্বাধীনতাকামী মানুষকে উৎসাহিত করে যাবে।

এবার আরেক মুক্তিযোদ্ধার গল্প শোনা যাক যার নাম মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস। মাত্র ২৬ বছর বয়সে যশোরের কালীগঞ্জে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। 

মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরে কমান্ডার এমএ জলিলের নেতৃত্বে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি সেখান থেকে ৮ নম্বর সেক্টরে মেজর জেনারেল মঞ্জুর এর অধীনে যুদ্ধ করেন। তার অন্যতম কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছেযুদ্ধকালীন শত্রুদের ট্রেন ধ্বংস করেন।

আরেক স্বাধীনতাকামী নারী হচ্ছেন লুবনা মরিয়ম। তিনি পাকিস্তান আমল থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। এরপর যুদ্ধ শুরু হলে তিনিমুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অবতীর্ণ হন। চমৎকার অভিনয় দিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের চাঙ্গা রেখেছেন। 

এমনকি তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। সেই ঘটনার পঞ্চাশ বছর পরও আজ তিনি মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য সাংস্কৃতিক আন্দোলন অনেক বড় ভ‚মিকা রেখেছে। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে লুবনা মরিয়মদের অবদান কখনোই ভুলার নয়।

এবার আসা যাক আনিকা নামের নয় বছর বয়সী এক শিশুর কথায়। সুবিধাবঞ্চিত শিশু হয়েও আনিকা হাল না ছেড়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। আনিকার এই যুদ্ধের সঙ্গী তার বাবাও। তিনি স্বল্প আয়ে সংসারেরসবাইকে আগলে রেখেছেন। সাধ্যমতো আনিকার পড়াশোনাটার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন।ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে আনিকা প্রথম বেতনে মার জন্য শাড়ি ও বাবার জন্য ঘড়ি উপহার দিতে চান। 

উদ্যোক্তা আফরোজা পারভিনের কথা না বললেই না। নারীদের আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে তিনি দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।২০১৭ সালে তার প্রতিষ্ঠিত সামাজিক সংগঠন ‘উজালা’ এর মাধ্যমে গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত তিনি। তিনি সারাদেশে এ যাবৎ কাল পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করেছেন।

বিজয় দিবসে এমন সব হার না মানা গল্প নিয়ে #StoriesOfHeroicPeople  ক্যাম্পেইনে এর মাধ্যমে অপো খুঁজে নিচ্ছে বাংলাদেশের অজানা সব বীরদের কাহিনী। জমা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী এবং সর্বস্তরেরনায়কদের নানা গল্প।

#OPPOReno6 দিয়ে তুলে ধরা এই হিরোদের ভিন্নসব গল্প #OPPOGallery তে সংরক্ষিত থাকবে। 

তাই স্বাধীনতার এ মাসেখুঁজে নিন আপনার আশেপাশে থাকা অজানা কোনো নায়ককে। তাদের গল্প এবং ছবি শেয়ার করে অংশীদার হন - এর এ মহৎ উদ্যোগের সঙ্গে।
 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম