‘৪র্থ শিল্পবিপ্লব’ নিয়ে সেমিনারে ড. সবুর খানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১১:২৫ এএম
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশন অ্যান্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক আন্তজাতিক সম্মেলনে ‘৪র্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া সংযোগ’ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। গত ১১ ডিসেম্বর সম্মেলনের সমাপনী দিনে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিনি এ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান এবং সিনকিওসের পরিচালক নাশিক আকাশ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে করেন ড. মো. সবুর খান বলেন, গত ১৫ বছরে গড়ে ৯ লক্ষ ৬৬ হাজার গ্রাজুয়েট নতুন কর্মসংস্থানে প্রবেশ করছে। এখনো প্রচুর লোক বেকার রয়েছেন। চাকরীদাতা এবং গ্রহীতার মধ্যে সমন্বয় হচ্ছে না। ইন্ড্রাট্রি এবং একাডেমিয়ার মধ্যে একটা বিশাল শূন্যতা রয়েছে। ইউজিসি একটি সময় উপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে ইন্ড্রাট্রি এবং একাডেমিয়ার মধ্যে একটা সেতুবন্ধন তৈরি করতে। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।
ড. মো. সবুর খান আরও বলেন, বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে ইন্ড্রাট্রিবান্ধব শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুধু সাটিফিকেটধারী গ্রাজুয়েট তৈরি না করে এমন গ্রাজুয়েট তৈরি করতে হবে যারা বর্তমান সময়ে চাকুরির বাজারে কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারবে। সুতরাং আমাদের দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের টেকনোলজিতে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে একটি করে ল্যাপটপ প্রদান করছি। কারণ আমরা জানিনা আগামীতে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। টেকনোলজিগত দক্ষতা দিয়েই আমাদেরকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, দক্ষতার অভাবে অনেক উচ্চ শিক্ষিত ছেলেমেয়ে চাকরির বাজারে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি শুধু সাটিফিকেট প্রদান না করে কর্মমূখীশিক্ষা এবং ইন্ডট্রির চাহিদা অনুযায়ী গ্রাজুয়েট তৈরি করে তবে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রদানের তাগিদ দেন।