ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কিডনিতে যদি সমস্যা হয় তা পারত পক্ষে বোঝা যায় না। মানুষের শরীরে দুটি কিডনি থাকে, একটি অচল হয়ে গেলে অন্যটি কাজ চালিয়ে নেয়। ফলে রোগী বুঝতে পারে না যে তার কিডনিতে সমস্যা। কিন্তু যখন বুঝতে পারে তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। মূত্র থেকে বিভিন্ন হরমোন তৈরি ও ব্লাড পেশার নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও বহু কাজ করা এই অঙ্গটি শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তবে আমরা কিডনিকে খুব হেলায় হারাচ্ছি। দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু খাবার খাই, যার প্রভাব কিডনির ওপর ব্যাপকভাবে পড়ে। এমন কিছু খাবার খাই, যাকে বলা যেতে পারে কিডনির জন্য বিষ। যেহেতু কিডনির সমস্যা সহজেই ধরা পড়ে না, তাই আগে থেকেই এমন কিছু খাবার এড়িয়ে চলা বা সীমিত করা উচিত।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
যেকোনও প্রক্রিয়াজাত খাবারে অত্যাধিক মাত্রায় সোডিয়াম ও ফসফরাস থাকে। যা দীর্ঘদিন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং কিডনির ক্ষতি হয়।
সফট ড্রিঙ্ক
বাজারে পাওয়া যাওয়া জুস, এনার্জি ড্রিঙ্কসহ বিভিন্ন ধরনের সফট ড্রিঙ্কে উচ্চ মাত্রায় সুগার থাকে। কিডনির পাথর ও অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে এই সব সফট ড্রিঙ্ক। এসব পরিহার করে চলা উচিত।
রেড মিট
বিভিন্ন ধরনের রেড মিটে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন ও ফ্যাট উপাদান রয়েছে। তাই বেশি পরিমাণে রেড মিট খেলে তা কিডনিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
ক্যাফেইন
সাধারণত পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইন খেলে শরীরে তেমন কোনও সমস্যা হয় না। তবে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় অর্থাৎ চা বা কফি খেলে তা শরীরকে ডিহাইড্রেট করে দেয়। প্রভাব পড়ে কিডনির উপরও।
অ্যালকোহল
নিয়মিত অ্যালকোহল খেলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এতে কিডনির কার্যকারিতা কমে যায়। অ্যালকোহল রক্তচাপের উপরও প্রভাব ফেলে। যা ধীরে ধীরে আপনার কিডনির ক্ষতি করে।
কিডনিতে পাথর থাকলে
খনিজ ও লবণ দিয়ে তৈরি ছোট ছোট কঠিন বস্তু কিডনিতে জমে পাথর তৈরি করে। এসব পাথর ক্যালসিয়াম, অক্সালেট, ইউরিক এসিড বা ফসফেটের মতো উপাদান থেকে তৈরি হয়। পাথরটি কিডনি বা মূত্রনালিতে আটকে গেলে ব্যথা ও রক্তপাতের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- পানি কম পান করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, উচ্চ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট গ্রহণ, পেটে বা পিঠে তীব্র ব্যথা হয়, বমি ও প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।
