
প্রিন্ট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ পিএম
স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

যাত্রাবাড়ী (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪২ পিএম

আরও পড়ুন
রাজধানীর কদমতলীতে যৌতুকের জন্য গরম তেল ঢেলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। রোববার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী মিজান সরদার পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার বাবুরহাট
গ্রামের আউয়াল সরদার ছেলে। রায় ঘোষণার আগে
আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাকে
কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে মিজানের সঙ্গে মীম আক্তার রুপার বিয়ে
হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে নির্যাতন করতো মিজান। এরই মধ্যে
মিজান তার শ্বশুরের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জমি ও সাত লাখ টাকা মূল্যের
একটি দোকান যৌতুক হিসেবে আদায় করে নেন।
২০২৩ সালের ৬ মে রাতে রুপার কাছে যৌতুকের দাবি করে মিজান। এ সময় টাকা
দিতে অস্বীকৃতি করলে তাকে মারধর করে স্বামী। সেদিন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঘুমন্ত স্ত্রীর
ওপর গরম তেল ঢেলে দেয় মিজান। এতে দগ্ধ হন রূপা।
তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে ও তার সন্তানদের উদ্ধার করে। পরে রূপাকে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে
ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রুপার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ৯ মে
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আর ২৫ মে রূপা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মারা যায়। মৃত্যুর আগে ভুক্তভোগী ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলামের
কাছে জবানবন্দি দেন। একই আদালতে আসামি মিজান সরদার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
তদন্ত শেষে পুলিশের এসআই সরোজিৎ কুমার ঘোষ ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই আদালতে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১২ সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ
শেষে রোববার সকালে সেই মামলায় মিজানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।