
প্রিন্ট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৮ পিএম
‘মার্চ ফর গাজা’য় ছোট্ট শিশুর বক্তব্য ভাইরাল, কাঁদাল দেশবাসীকে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
‘আমি একজন মুসলিম হয়ে চুপ থাকতে পারিনি। কেন ছোট বাচ্চাদের ওপর অত্যাচার করছে ইসরাইলিরা। মুসলিমদের ওপর কেন এতো অত্যাচার করা হয়? আমি এটা মানতে পারি না। আমার থেকেও ছোট বাচ্চাদের ওরা (ইসরাইলিরা) হত্যা করছে। আমি ওদের বিচার চাই। আমি ওদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় এসেছি’।
কথাগুলো ডুকরে
ডুকরে কেঁদে বলছিল মার্চ ফর গাজায় অংশ নেওয়া এক ছোট্ট শিশু। তার বক্তব্য ইতোমধ্যে সোশ্যাল
মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তার কান্নায় চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি নেটিজেনরাও।
ফিলিস্তিনে
চলমান ইসরাইলি বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে বাবার সঙ্গে অংশ নেন শিশুটি।
শিশুটি বলে,
এই যুদ্ধ বন্ধ হোক। ফিলিস্তিনে আমার মতো ছোট বাচ্চারা ঘাস লতা-পাতা খেয়ে বেঁচে আছে।
ওদের কিচ্ছু নেই। আমরা কি সুন্দর ঈদ পালন করেছি, ওরা (ফিলিস্তিনিরা) ঈদের দিনেও গুলি
খেয়েছে। ঈদের দিনেও ওদের মেরে ফেলা হয়েছে। ওদের জন্য সব সময় দোয়া করি।
শিশুটির কাছে
জানতে চাওয়া হয় এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় এসেছ, না বাবা নিয়ে এসেছে? জবাবে বলে, ‘আমি
বাবাকে বলেছি তোমার সঙ্গে ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের পক্ষে প্রতিবাদ জানাতে যাব। ’
তার পাশে থাকা
বাবার কাছে জানতে চাওয়া হয় ছোট্ট শিশুর মাঝে কিভাবে এতো প্রতিবাদের ভাষা এলো? জবাবে
শিশুটির বাবা বলেন, ফিলিস্তিনের শিশুদের নির্যাতনের ভিডিও মোবাইলে দেখে বাসায় বসে বসে
আমার মেয়ে কান্না করে এবং তাদের জন্য হাত তুলে দোয়া করে। ‘মার্চ ফর গাজা’র কর্মসূচির
নাম শুনে সে বলে ‘বাবা তোমার সঙ্গে যাব’।
তিনি বলেন,
এই কর্মসূচিতে সন্তানদেরকেও নিয়ে আসা ঈমানি দায়িত্ব। মানবতার মুক্তি হোক। ফিলিস্তিনের
মুক্তি হোক। সারা পৃথিবীর মুসলমানরা যেন মুক্ত থাকতে পারে এটাই আমরা চাই। পাশাপাশি
আমাদের সন্তানদের যেন ইসলামের শিক্ষা ও মানবতার শিক্ষা দিতে পারি এই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
গাজার শিশুদের
নিয়ে বাংলাদেশের এই শিশুর হৃদয়স্পর্শী বক্তব্য নেটিজেনদের আবেগে ভাসিয়েছে। শিশুটির
কান্না তাদেরকেও কাঁদিয়েছে। তৌহিদ খান সজল নামে এক ব্যক্তি বলেন, এই ছোট্ট বোনের কান্না
দেখে নিজের কান্না থামিয়ে রাখতে পারলাম না। আল্লাহ তুমি ছোট বোনটাকে নেক হায়াত দান
করো।
পারু আখতার
বলেন, আল্লাহ, আপনি এই ছোট্ট শিশুর চোখের পানি কবুল করেন, আমিন।
শাহান নামের
এক ব্যক্তি বলেন, এই ছোট বোনের কান্না দেখে নিজেরই চোখে পানি চলে আসছে।
আতোয়ারা নামে
আরেকজন লেখেন, আমার এই ছোট্ট বোনটির কান্না বৃথা যেতে দিও না হে আল্লাহ। তুমি বড় পরিকল্পনাকারী।
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের কষ্ট আর সহ্য হয় না, আমরা কিছু করতেও পারছি না। তুমি তাদের
সহায় হও, আর আরব মোনাফিকদের হেদায়েত দান করো।
ফয়সাল আহমেদ
বলেন, শিশুটির কান্নায় নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।
ফরহাদ হোসাইন
বলেন, বাচ্চাটার কান্নায় আমিও কান্না করে দিয়েছি।
আতিক নামে একজন
বলেন, কান্না করেছি আল্লাহর কাছে, আজ আবারো কান্নায় ভরে উঠলো দু-চোখ।
শারমীন রুনা
বলেন, এমন বুঝদারই যেন হয়ে ওঠে আমাদের সন্তানগুলো।