
প্রিন্ট: ৩১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৪ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম

আরও পড়ুন
রমজান মাসের শেষ শুক্রবারে (জুমাতুল বিদা) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঢল নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের। নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে পুরো মসজিদ। খুতবার আগে নফল নামাজ, তসবি পাঠ, দুয়া এবং কোরআন তেলাওয়াত করে সময় পার করছেন মুসল্লিরা।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর ১২টার আগেই দলে দলে মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করছেন। সোয়া ১২টার মধ্যেই মসজিদের প্রধান অংশ পূর্ণ হয়ে যায়। ভেতরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় পরবর্তীতে মুসল্লিরা বাইরের বারান্দা এবং দ্বিতীয়-তৃতীয় তলায় অবস্থান নেন। অনেককে বাইরেও নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
মুসল্লিরা বলছেন, শুক্রবার এমনিতেই মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এরপর জুমাতুল বিদা বা রোজার শেষ শুক্রবার হিসেবে আরও আজকের দিন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মুসল্লিরা বলেন, আজকের দিনটি সব মুসলমানদের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া জুমাতুল বিদা দিনটিকে আরও গুরুত্ববহ করেছে৷ সবাই আগেভাগেই মসজিদে চলে এসেছে৷ আজ মনে হচ্ছে, অন্যান্য শুক্রবারের তুলনায় মসজিদে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য বেশি।
জুমাতুল বিদা উপলক্ষ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত এবং দোয়া করা হয়। তাছাড়া দেশের সব মসজিদে জুমা শেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে।
রমজানের শেষ জুমাকে জুমাতুল বিদা বলা হয়। কুরআন হাদিসে কোথাও জুমাতুল বিদা নিয়ে বিশেষ কোনো ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়নি। তবে জুমার দিন এবং রমজানের শেষ জুমা হওয়ার কারণে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন আমল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। জুমাতুল বিদা মনে করে কোনো বিশেষ আমল ইবাদত করা যাবে না। অন্যান্য জুমার দিনের মতো এই জুমাতেও তাড়াতাড়ি মসজিদে গমন, আল্লাহর কাছে দোয়া, তাসবিহ তাহলিলসহ বেশ কিছু ইবাদত করা যেতে পারে বলে আলেমরা অভিমত দিয়ে থাকেন।