
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৬ এএম
পাঁচ পণ্য নিয়ে মোহাম্মদপুরে উদ্বোধন হলো ‘জনতার বাজার’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাঁচ নিত্যপণ্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মোহাম্মদপুরে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘জনতার বাজার’।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিকালে মোহাম্মদপুরে জনতার বাজার-১ উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ।
মোহাম্মদপুরের জনতার বাজার-১ এ উদ্বোধনী দিনে পাঁচটি পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জনতার বাজারে আগামীকাল থেকে পেয়াজ, আলু, রসুন, চাল ও আদা বিক্রি করা হবে। তার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ ও মাংস বিক্রি করা হবে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, ঢাকা শহরে এই ধরনের বাজার করা চ্যালেঞ্জিং। দেশে যে স্থানে পণ্যের দাম কম থাকবে সেখান থেকে পণ্য এনে কম দামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আলাদা কোন দোকান হবে না। আগামীকাল থেকে বিক্রি শুরু হবে। বাজারের দামের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে কম দামে বিক্রি করা হবে। এখানে কোনো পাইকারি বিক্রি হবে না, খুচরা বিক্রি করা হবে। ভোক্তা নিদিষ্ট পরিমাণ পণ্য নিতে পারবেন। ঢাকা শহরে ৬/৭ টি জনতার বাজার করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঈদের পর সকল পণ্য নিয়ে পুরোদমে চালু হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, কোন পণ্য আমাদের রান্না ঘরে ঢোকার আগে কয়েকবার হাত বদল হয়। এটার কারণে আমাদের ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়ে। এ উদ্যোগ সফল হলে অন্যান্য জায়গায় একই উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে। সুতরাং এটা আমাদের জন্য পরীক্ষা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তায় স্বস্তি আনা প্রয়োজন। আসল নিরাপত্তা বিধান ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্য করা উচিত। আমাদের বেঁচে থাকতে হলে ক্রয় ও বিক্রয় করতে হবে। যদি আমরা নিয়ম মেনে চলি, তাহলে আমরা সকলে লাভবান হবো। আমাদের দেশে বড় সমস্যা হল, ক্রেতা ও বিক্রেতা পরস্পরকে ঠকানোর চেষ্টা করে। এটা পুঁজিবাদী নীতি। রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রতারকের সঙ্গে আমি কখনো থাকবো না।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সভাপতিত্বে জনতার বাজার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বসিলা আর্মি ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর তৌফিক ইমাম, পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. জুয়েল রানা প্রমুখ।