Logo
Logo
×

রাজধানী

চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদারের ওপর হামলার অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে

Icon

মিরপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ এএম

চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদারের ওপর হামলার অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে

রাজধানীর মিরপুরে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক ঠিকাদারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবারের এ হামলার জেরে হামলায় আহত ঠিকাদার রূপনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে রুপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সেক্রেটারি শফিককে।

লিখিত অভিযোগে ঠিকাদার নিজাম উদ্দিন উল্লেখ করেন, তিনি রূপনগরের দুয়ারীপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন। দুয়ারীপাড়া ‘খ’ ব্লকের ১ নাম্বার সড়কের পাশে তার একটি ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। শুক্রবার ওই প্রকল্পের বাউন্ডারি দেওয়ালের গাঁথুনির কাজ চলছিল। এ সময় শফিকের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন এসে কাজে বাধা দেয় ও বাউন্ডারি দেওয়াল ভেঙে ফেলে। মারধর করে নির্মাণ শ্রমিকদেরও।

খবর পেয়ে নিজাম উদ্দিন সেখানে গেলে  হামলাকারীরা তার ওপরও হামলা চালায়। তাকে মারধর করে। তখন হামলাকারীরা নিজামকে বলে, রূপনগর থানা বিএনপির সদস্য এম আশরাফুল ইসলাম বলেছেন- কাজ করতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। এলাকায় কোনো বাড়ির কাজ ধরলে ভাইয়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তাকে কাগজপত্র দেখিয়ে বাড়ির কাজ ধরতে হবে। ভাই রূপনগর থানা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী, তাই তার টাকা দরকার। পরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায় হামলাকারীরা।

পুরো হামলার চিত্র ধরা পড়ে আশপাশের স্থাপনায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায়।

অভিযোগের বিষয়ে রূপনগর থানা বিএনপির সদস্য এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এটি ভিত্তিহীন। থানায় ঠিকাদারের অভিযোগের বিষয়ে অবগত হয়েছি। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন নেতাকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আমি কোনো দখলবাজি-চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। ওই ঠিকাদারকে আমি চিনি না। সেখানে হামলার ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় একটি কুচক্রী মহল এ ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

রুপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কাউসার হামিদ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি। অপকর্ম করে কেউ ছাড় পাবে না।’

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপনগর থানার এসআই ইব্রাহিম বলেন, ‘তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’

রুপনগর থানার ওসি মোকাম্মেল বলেন, ‘এ ঘটনায়  একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম