‘কিডনি রোগে আক্রান্ত ১৫ শতাংশ রোগী চিকিৎসা পান’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম

প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশে কিডনি রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও সীমিত পরিসরে থাকায় প্রতিবছর অসংখ্য রোগী উন্নত চিকিৎসার আশায় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।
বিশেষত, কিডনি প্রতিস্থাপন ও ডায়ালাইসিস সুবিধা পর্যাপ্ত না থাকায় রোগীরা ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ প্রবণতা রোধ করতে ১১টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন। একই সঙ্গে কিডনি ডোনেশনের ক্ষেত্রে আরও সহজ করে আইন তৈরির করার তাগিদ দিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দেশে কিডনি চিকিৎসার পরিধি বাড়াতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কিডনি রোগ শনাক্তকরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সুবিধা চালু করা, কমিউনিটি ক্লিনিকে কিডনি রোগ পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা এবং সিএফিডি ফ্লুইডের দাম কমানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো ও তাদের সুষমভাবে বণ্টনের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনে ‘ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট’ বা মৃতদেহ থেকে কিডনি গ্রহণের প্রক্রিয়া বিস্তৃত করা এবং ‘রেনাল রেজিস্ট্রি সিস্টেম’ চালু করার কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও স্থূলতার মতো ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের জন্য বিশেষ নজরদারি গড়ে তোলার সুপারিশ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ ফরহাদ হাসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয়। কিন্তু চিকিৎসা পায় মাত্র ১৫-২০ শতাংশ রোগী। ফলে বাকি ৮০ শতাংশ মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন। দেশে কিডনি চিকিৎসার পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ১১ দফা বাস্তবায়ন করা গেলে কিডনি রোগীদের বিদেশমুখিতা কমবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ-এর নেফ্রোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম, কেএএমএস-এর সভাপতি প্রফেসর এম. এ. সামাদ, পপুলার মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক মোহিবুর রহমানসহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় বিএসএমএমইউ বটতলা থেকে একটি র্যালি বের করা হবে। এরপর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।