স্বর্ণা আক্তার ও রাহাতুল হাসান দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন।কিন্তু সেই ভালোবাসা দুই বছরেই বিষাদে রূপ নেয়।বাইক কিনে দিতে স্বামীর চাপের একপর্যায়ে ঝগড়া আর মনোমালিন্যের জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন স্বর্ণা।

রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া পাড়া ডগাইর শাহজালাল রোডের বুলু মিয়ার বাড়িতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মৃতের স্বামী রাহাতুল হাসান রাহাত ও তার শাশুড়ি নয়ন মনিকে আসামি করে স্বর্ণার ভগ্নিপতি ডেমরা থানায় একটি মামলা করেন। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ রাহাতুল হাসানকে গ্রেফতার করে। বুধবার বিকালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।তিনি কোনাপাড়া শাহজালাল রোডের শুন্যা টেংরা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণা আক্তার ও রাহাতুল হাসান ২ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী স্বর্ণাকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার দাবি জানান এবং চাপ প্রয়োগ করেন রাহাতুল হাসান।বিষয়টি স্বর্ণা তার মাকে জানালে ‘পরে দেখা যাবে’ বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য ও ঝগড়া হয়। পরে অভিমানে স্বর্ণা গতকাল (৩ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা দিকে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. মাহামুদুর রহমান বলেন, তাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ছাড়া মৃতের স্বামী নাকি তার স্ত্রীর কাছে একটি মোটরসাইকেল চেয়েছিলেন। হয়তো সেটি নিয়ে মনোমালিন্য হওয়ায় স্বর্ণা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।