গণহত্যার বিচারের দাবিতে জুলাই মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচি চলছে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম

জুলাই মঞ্চের সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক বলেছেন, আমরা পুঁটি মাছ ধরছি আর বোয়াল মাছ ছেড়ে দিচ্ছি। জুলায় আন্দোলনে যারা গুম, খুন, নির্যাতন চালিয়েছে তারা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছে। যতদিন এসব বোয়াল মাছ ধরা না হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জুলাই মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই মঞ্চের সংগঠক আবু হানিফ, মুনতাসিরুল ইসলাম প্রমুখ। কর্মসূচিতে একাত্বতা জানাতে আসেন গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস ও প্রাণী বিষয়ক সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রতন।
১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জুলাই মঞ্চ। বৃহস্পতিবার ছিল কর্মসূচির তৃতীয় দিন। এ উপলক্ষে টানানো ব্যানারে লেখা হয়েছে, গণহত্যার বিচার, গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠন সমূহ নিষিদ্ধ ঘোষণা, গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী রজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি।
সংগঠক থোয়াই চিং মং শাক আরও বলেন, এ আন্দোলন আমার একার না, এ দাবি আমার একার দাবি না। আওয়ামী লীগ যদি এ বাংলার মাটিতে আবার ফিরে আসে তাহলে জুলাই বিপ্লবকারীদের নিশ্চিহ্ন করে দেবে। আবার ভারত থেকে স্নাইপার হায়ার করে আমাদের উপর গুলি চালাবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা এই জুলাই বিপ্লবে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে তাদের এখনও গ্রেফতার করা হয় নাই। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। কি সংস্কার করা হচ্ছে।
আপনারা দেখান এমন একটা সংস্কার যার মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের খুনিদের বিচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। যে কনস্টেবল গুলি চালিয়েছে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু এই কনস্টেবলকে গুলির নির্দেশদাতা সেই ওসি, ডিসি, সচিব, সেই কাউন্সিলর, আমলাদের এখনো গ্রেফতার করা হয় নাই। আপনারা দেখতে পারছেন উপদেষ্টা সরকার ডেভিল হান্ট পরিচালনা করছে। আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সচিবালয়ে শয়তান (ডেভিল) আপনার আশেপাশে রয়েছে। ওইসব শয়তানগুলোকে ধরে ধরে বিচারের আওতায় আনেন। ১৭টি বছর যেই সমস্ত ডিসি, এসি, ওসি, নির্বাচন কমিশনার রাতের অন্ধকারে নির্বাচনকে ছিনতাই করতে আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি লাগাতার চলতে থাকবে।
বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে যারা গুম, খুন করেছে, একচ্ছত্র ক্ষমতা বলে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর চেষ্টা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলে দাবি করেন বক্তারা।
জুলাই আন্দোলনকারীদের সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানানো হয় জুলাই মঞ্চের পক্ষ থেকে।