রিকশা থামিয়ে দম্পতিকে কোপাল কিশোর গ্যাং সদস্যরা

উত্তরা পশ্চিম (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

রাজধানীর উত্তরায় রিকশা থামিয়ে দুই পথচারীকে প্রকাশ্যে দা দিয়ে কোপনো হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৯নং রোডে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
যেখানে দেখা যায়, সাদা ও জলপাই রঙের শার্ট পরিহিত দুই যুবক এক নারী ও এক পুরুষকে দা দিয়ে কোপাচ্ছে।
কোপের শিকার ব্যক্তিরা হলেন, মকবুল ও ইফতি। মকবুল জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য তাহসিন রিয়াদের বন্ধু। মকবুল ও ইফতি সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য হাসান মঈন যুগান্তরকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুজনকে আটক করা হয়েছে। এই হামলার পেছনে যারা জড়িত তাদের শেকড় থেকে বের করে আনতে হবে।
তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং গ্রুপটির সদস্যরা সেক্টরের ভেতরে উচ্চশব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় রিকশা থেকে মকবুল ও ইফতি প্রতিবাদ করায় ২০/২৫ জনের একটি কিশোর গ্যাং বাহিনীকে জড়ো করে তাদের কোপায়।
অন্যদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের ওই গ্রুপটি টঙ্গী এলাকার বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। সন্ধ্যার পরপর উত্তরা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাইয়ে জড়িত এ চক্রের সদস্যরা।
আটক দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, মোটরসাইকেলে উচ্চ শব্দ করে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একটি শিশুকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এর প্রতিবাদ করলে পাশ দিয়ে আরেকটি মোটরসাইকেলে যাওয়া দম্পতি প্রতিবাদ করে। এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাদের লোকবল ডেকে দম্পতির ওপর রামদা দিয়ে হামলা করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. মোবারক হোসেন (২৫) ও রবি রায় (২২)। গ্রেফতার মোবারকের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী থানায়। তিনি টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় ভাড়া থাকেন। আর রবি রায়ের বাড়ি টঙ্গী পশ্চিম থানার হাজীর মাজার এলাকায়।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি হাফিজুর রহমান।