ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির ছয় মাস পূর্তির দিনে ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে এ ভাঙচুর শুরু হয়।
বুধবার রাতে একটি ক্রেন ও দুটি এক্সকেভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালেও একটি এক্সকেভেটর দিয়ে চলে বাড়ি ভাঙার কাজ। সেদিন সকাল সাড়ে ১০টার পর একমাত্র এক্সকেভেটরটি সরিয়ে নেওয়ার পর আর কোনো ভারি যন্ত্রপাতি আনা হয়নি।
বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত দুই দিনের মতো শুক্রবারও সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। কেউ একা, কেউ আবার পরিবার নিয়ে এসেছেন বিধ্বস্ত বাড়িটি দেখতে।
এছাড়া ভাঙারি দোকানি ও নিম্নআয়ের মানুষেরা ব্যস্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে লোহার রড কাটায়। হাতুড়ি, শাবল, লোহা কাটার ব্লেড দিয়ে যে যার মতো সেগুলো কেটে নিচ্ছেন। এসব নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে নারী, পুরুষ, কিশোরও রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ থেকে ৫ জনের একটি দল এসে ভাঙা স্তূপ থেকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রড বের করে জমা করছিলেন। এদের একজন তাজুল ইসলাম জানালেন, খবর পেয়ে শুক্রবারই এসেছেন রড নিতে।
মোহাম্মদপুর থেকে এসে ভবনের আরেক পাশে ভাঙা স্তূপ থেকে রড কাটতে থাকা দেলোয়ার বলেন, ‘সবাই নিতাছে, আমিও নেই। কালকেও কিছু নিয়া রাখছি। আজকে যা পারি একলগে কইরা বেচমু।’
কয়েক বন্ধু নিয়ে উত্তরা থেকে দেখতে আসা শামীম আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচারের পরিণতি কী হয় সেটা দেখতে এসেছি। কয়েক মাসের ব্যবধানে কী জায়গাটা কী হয়ে গেল। মাটির সঙ্গে মিশে গেল সব। আশা করছি ভবিষ্যতে সবাই এ থেকে শিক্ষা নেবে।’