রাপা প্লাজা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা বন্ধসহ নারী উদ্যোক্তাদের ৭ দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
রাজধানীর ধানমন্ডির রাপা প্লাজা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টা বন্ধসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তারা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম
হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী
উদ্যোক্তা কোহিনূর আক্তার বলেন, ‘জয়িতা ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তারা সারা পৃথিবীতে
বাংলাদেশের নারী জাগরণের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক নানা
সংস্থা সরকারকে সহযোগিতা করেছে। নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি আমরা দেশের আর্থসামাজিক
উন্নয়নে অংশ নিয়েছি।’
কোহিনূর আক্তার বলেন, ‘পতিত সরকার নারী
উদ্যোক্তাদের বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম ড. মুহাম্মদ
ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। কিন্তু
কোনো এক অজানা কারণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশার ওপর প্রতিষ্ঠিত নতুন সরকারও জয়িতা
ফাউন্ডেশনের নারী উদ্যোক্তাদের বঞ্চিত করার পথ থেকে এখনো সরে আসেনি।’
জয়িতা নারী উদ্যোক্তা আফসানা হক তুলি ৭
দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নির্মিত জয়িতা
টাওয়ারে উদ্যোক্তাদের পুনর্বাসন, জয়িতা বোর্ড অব গভর্নরসে ৮ বিভাগের ৮ জন নারী উদ্যোক্তা
প্রতিনিধি রাখা, জয়িতা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাকালীন নারী উদ্যোক্তাদের তালিকা প্রকাশ,
জয়িতা টাওয়ার ১২ তলা ভবনের দুইটি ফ্লোরে, রাপা প্লাজার বিপণন ও ফুড কোর্টের উদ্যোক্তাদের
জয়িতা টাওয়ারে সশরীরে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া।
উদ্যোক্তা দিল ফারজানা বীথি বলেন, ‘আমরা
যখন জয়িতা ফাউন্ডেশনে যাই, আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে
দেয়। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকেও চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো সুফল আসেনি।’
উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, সরকার বিদেশে জয়িতা
উদ্যোক্তাদের দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার ফান্ড এনেছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনো সহায়তা নারী
উদ্যোক্তারা পাননি।
জয়িতা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারের মহিলা
ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নারী উদ্যোক্তাদের সংস্থা। সারা দেশের বিভিন্ন
প্রান্তে অবস্থান করা নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমিতি নিয়েই এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানকালীন সময় এবং এরপর থেকে এই সংস্থার অধীনে থেকে দেশের নারী উদ্যোক্তারা
কাজ করছেন।