কবজিকাটা আনোয়ার গ্রুপ
আদাবরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মোবাইল ছিনতাই, আহত ২
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
প্রতীকী ছবি
রাজধানীর আদাবরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে মোবাইলসহ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা।
শনিবার রাতে আদাবরের শ্যামলী হাউজিং ২য় প্রকল্প এলাকার এ হামলায় গুরুতর আহত ভুক্তভোগী এখন মৃত্যুসজ্জায় হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। এ সময় ছিনতাকারীরা আরও একজনকেও কুপিয়ে আঙুল ফেলে দিয়ে মোবাইল, টাকা নিয়ে গেছে।
জানা যায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে ১২ বছর বয়সি সন্তানের জন্য পিঠা আনতে যান মামুন হোসেন (৩৩)। এ সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জনের একটি ছিনতাইকারী চক্র এসে প্রথমে মোবাইল ফোন র্ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। মোবাইল দিতে না চাইলে ৮-১০ জন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। তাকে তারা মাথার বাটি, হাত, কাঁধ, কোমর ও পায়ের হাঁটুতে বিশ থেকে পঁচিশটি কোপ দিয়েছে। এরপর তারা মোবাইল নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে চলে যায়। একই সময় মাসুদ (২০) নামে আরেক ভুক্তভোগীকে কুপিয়ে হাতের আঙুল ফেলে দিয়ে ছিনতাইকারীরা তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।
এসব ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সবাই কবজিকাটা গ্রুপ আনোয়ারের হয়ে পুরো এলাকায় ছিনতাই করে। তাদের ভয়ে ভুক্তভোগীরা কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ মুখ খুললেই নেমে আসে ভয়াবহ হামলা। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার একেবারে নিষ্ক্রিয় থাকায় জীবন শঙ্কায় অনেক ভুক্তভোগী মামলাও করতে চান না।
ছিনতাইকারীর হামলায় মৃত্যুসজ্জায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মামুন হোসেনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, রাত দশটায় মেয়ের জন্য পিঠা আনতে বাইরে গিয়ে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। ফোন নেওয়ার জন্য তারা আমার স্বামীকে কুপিয়ে মৃত্যুসজ্জায় পাঠিয়েছে। ছিনতাইকারীদের কোপে আমার স্বামীর মাথার বাটি ভেঙে গেছে। ডাক্তার বলেছে আরেকটু হলে সে হয়তো মারাই যেতো। এছাড়াও তারা তাকে কুপিয়ে হাতের কবজি, কাঁধ, পিঠ এবং পায়ের হাঁটুর বাটিতে যখম করেছে। ডাক্তার ইতোমধ্যে কয়েকটা অপারেশন করেছে। আরও কয়েকটা অপারেশন এখনো বাকি আছে। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। আরেক ভুক্তভোগী মাসুদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার পরিবার ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হয় নি। তবে তারা জানিয়েছে, আপাতত মাসুদ শঙ্কামুক্ত রয়েছে। তার হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলার পর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছে।
আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া জানান, আমাদের টিম হাসপাতালে গিয়ে ভ‚ক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা কিশোর গ্যাং ছিনতাইকারর চক্রটি ধরতে যৌথ অভিযান চালানোর কথা ভাবছি।