মিরপুর ডিওএইচএস দিয়াবাড়ি সড়ক যেন দুর্ভোগের সাক্ষী

মিরপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম

রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর ডিওএইচএস দিয়াবাড়ি সড়ক। ছবি: যুগান্তর
রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর ডিওএইচএস দিয়াবাড়ি সড়কটি যেন গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। উঁচু নিচু খানাখন্দে ভরা এই সড়কটিতে প্রতিনিয়ত যানজটের পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজনকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, এই সড়কে অনায়াসে মিরপুর থেকে দিয়াবাড়ি হয়ে উত্তরা যাওয়া যায়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে লোকজনের আনাগোনা বেশি থাকে এই সড়কে। অথচ পৌনে এক কিলোমিটারের এই সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে। গত কয়েক বছর ধরে এই সড়কটি চলাচলকারীদের কাছে দুর্ভোগের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মিরপুর ডিওএইচএস থেকে (মেট্রোরেলের ১৩৯ নং পিলার) উত্তরা দক্ষিণ মেট্রোরেল স্টেশন (১১৫ নং পিলার) পর্যন্ত সড়কটির বেশিরভাগ অংশ ভাঙ্গা ও খানাখন্দে ভরে। অনেক জায়গায় পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রিকশা, ভ্যান ও যানবাহনের চাকা এসব গর্তে পড়ে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়টিতে প্রতিনিয়ত ধুলোবালি আস্ত পড়ে থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হয়ে পড়ে পুরো সড়কটি।
স্থানীয় বাসিন্দা এ কে সামছুল হক বলেন, অনেক অল্প সময়ে উত্তরা যেতে এই সড়কটি মিরপুরসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা ব্যবহার করেন। এই সড়কটি সংস্কার হলে মিরপুর ডিওএইচএস থেকে দিয়াবাড়ি যেতে ৫ মিনিটেরও কম সময় লাগবে। সড়কটিতে সারাক্ষণ যানজট লেগেই থাকে। অনেক সময় যাতায়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়।
উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রিপন বলেন, আমি মিরপুর-১২ নম্বর থেকে এই সড়কে ভার্সিটিতে যাই। পুরো সড়কটি চলাচলের উপযোগী থাকলেও মিরপুর ডিওএইচএস গেট থেকে মেট্রোরেলের দক্ষিণ স্টেশন পর্যন্ত সড়কটি পুরোপুরি বেহাল রয়েছে। এতে ভাড়া বেশি দেওয়া লাগে। রিকশায় উঠলে ঝাঁকুনি খেতে হয়। সড়কটি সংস্কারের দাবিতে আমরা অচিরেই মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেব।
উত্তরায় অবস্থিত বিজিএমইএ’র অফিস স্টাফ সোলেমান বলেন, অফিসের কাজ শেষে সন্ধ্যায় মিরপুরের বাসায় ফেরার পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই সড়কে বসে থাকতে হয়। অথচ সড়কটি পার হতে ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
ডিএনসিসির সদ্য সাবেক ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একবার সড়কটি সংস্কারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কোনো সাড়া মেলেনি।
ডিএনসিসি অঞ্চল ২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, সেনাবাহিনী সড়কটি সংস্কার করতে দিচ্ছে না। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি।