চাঁদাবাজিতে বাধা, মহিলা দলের নেত্রীর ওপর যুবদলের হামলা
মিরপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর মিরপুরে চাঁদাবাজিতে বাধা দেওয়ায় সেলিনা আক্তার নামে মহিলা দলের এক নেত্রীর ওপর হামলা ও তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতাদের বিরুদ্ধে।
মিরপুর ১ নম্বরে গত মঙ্গলবার একটি চশমার দোকানে ওই যুবদল নেতারা চাঁদা চাইতে গেলে বাধা দেন সেলিনা ও তার স্বামী। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে সেলিনা ও তার স্বামীর ওপর অতর্কিত হামলা চালান যুবদল নেতারা।
সেলিনা মিরপুর থানা মহিলা দলের সদস্য সচিব। এ ঘটনায় বুধবার রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সেলিনা। অভিযুক্তরা যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
তারা হলেন- সুমন ওরফে কাটিং সুমন, মির্জা মামুন, সোহেল মিয়া, কোরবান আলী, বেল্লাল ও মুনছুর আলী। এর মধ্যে মামুন রাজধানীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি, সুমন ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও মিরপুর থানা যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী, সোহেল মিরপুর থানা যুবদলের সাবেক সদস্য, মুনছুর মিরপুর থানা যুবদলের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কোরবান ও বেল্লাল মিরপুর থানা যুবদলের সক্রিয় কর্মী।
জানা যায়, ৫ আগস্টের পর ওই যুবদল নেতারা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে মিরপুর ১ নম্বরের ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আসছেন। সেলিনা দলের নাম ভাঙিয়ে তাদের চাঁদাবাজি করতে নিষেধ করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ২৪ নভেম্বর রাতে মিরপুর ১ নম্বর শাহআলী বাগের বৌবাজারে সেলিনা ও তার স্বামীর ওপর হামলা চালান। চাঁদাবাজিতে বাধা দিলে তাকে (সেলিনা) মেরে ফেলার হুমকিও দেন হামলাকারীরা। ১০ ডিসেম্বর মিরপুর ১ নম্বরে সেলিনার দেবর আবুল খায়েরের চশমার দোকানে চাঁদা তুলতে যান যুবদলের নেতারা। সেলিনা ও তার স্বামী সেখানে বাধা দিলে রাতেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও যুগান্তরের হাতে এসেছে।
সেলিনা বলেন, যারা আমার ওপর হামলা করেছে সবাই যুবদল করে। আগে এদের অনেকেই ছেঁড়া জুতা পায়ে হাঁটত। এখন নামিদামি গাড়ি দিয়ে চলাফেরা করে। সব চাঁদাবাজির টাকায় করা। ১২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মির্জা মামুন বলেন, আমি চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই। আমি রাজনীতি করি।
মিরপুরের স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর যুবদলের নাম ভাঙিয়ে মিরপুর ১ নম্বরের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফুটপাত, নেট, ডিশ, ডেভেলপার কোম্পানি, পোশাক কারখানা, অটোরিকশা, রেস্টুরেন্টে চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিযুক্তরা। এদের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় কয়েকটি অভিযোগও জমা পড়েছে।
মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে ব্যবস্থা নেব।