সোহরাওয়ার্দী ও মাহবুবুর রহমান কলেজের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৪ শিক্ষার্থী

যাত্রাবাড়ী ( ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পিএম

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত তাদের এ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলতে থাকে। এতে বিকাল ৫টা থেকে ৩ ঘণ্টা যাত্রাবাড়ী -ডেমরা হাইওয়ে সড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
এ সময় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। ইটের আঘাতে দুই কলেজের চারশিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ফাহাদ, আশিক, সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের নাম জানা যায়নি। এসময় কলেজের সামনে থাকা একটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়।
রাত পৌনে ৮ টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কলেজর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অভিজিৎ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে অভিজিৎ ১৮ নভেম্বর মারা যায়। পরে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করতে চেয়েছে।
এ খবর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে ২০ নভেম্বর বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় হাসপাতালের লোকজন ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে অন্তঃ ২০ জন শিক্ষার্থীদের আহত করে। এ ঘটনায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা যুগান্তরকে বলেন, রোববার কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম। এসময় দুপুরে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী আকস্মিক আমাদের কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং পরীক্ষার্থীদের মারধর করে পরীক্ষার খাতা ছিড়ে ফেলে। এতে প্রায় ৩৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনা সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পরে। এতে ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা রোববার মাহবুবুর কলেজে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পুলিশের বাঁধায় কলেজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা চলে যায়।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দুই প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন,মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী ন্যাশনাল হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় কয়েকদিন ধরে গন্ডগোল চলে আসছে। আজ রোববার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিচ্ছিল দুপুরে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ৪/৫ হাজার শিক্ষার্থী কলেজে গিয়ে ভাংচুর করে এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করে পরীক্ষার খাতা ছিড়ে ফেলে। এ ঘটনায় ওই কলেজের ৭/৮শ শিক্ষার্থী বিকেলে একত্রিত হয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের দিকে রওয়ানা দেয়। তাদের দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ২ ঘন্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। এসময় পরিস্থিতি সামাল দিতে ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এ সময় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের সামনে থাকা একটি ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।