গুলিস্তান ও ফার্মগেটে হকার উচ্ছেদে যৌথ অভিযান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম
রাজধানীর গুলিস্তান ও ফার্মগেট এলাকায় হকার উচ্ছেদে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে ডিএমপি ট্র্যাফিক বিভাগ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মঙ্গলবার এই অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা।
এদিন গুলিস্তান থেকে হকারদের ৫০০ চৌকি ও ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ফার্মগেটে অভিযান চালিয়ে ফুটপাতের শতশত দোকান গুড়িয়ে দিয়েছে যৌথ বাহিনী।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, গুলিস্তানে আমরা দিনে চার বার অভিযান চালাই। কিন্তু অভিযানে এসে কোনো গাড়ি পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে আমরা তথ্য পেলাম অভিযানের সময় হকাররা গাড়িগুলো গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কে এনে রাখে। অভিযানের দল চলে গেলে তারা আবারও রাস্তায় নামে। আজ আমরা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় গাড়ি রাখার স্থানেই অভিযান চালিয়েছি। এই অভিযানে সহায়তা করেছে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগ, সিটি করপোরেশন ও সেনাবাহিনী।
এদিন দুপুরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব ও সিটি করপোরেশনের যৌথ অভিযানে ফার্মগেট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ফার্মগেটের গ্রিনরোড থেকে শুরু করে খামারবাড়ি পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এতে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা শত শত দোকানপাট গুঁড়িয়ে দিতে দেখা যায়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করছে উচ্ছেদ হওয়া হকাররা।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান বলেন, ফুটপাত উচ্ছেদের এক দিন আগে এই বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছিল। তাদের চলে যেতে ঘোষণা দেওয়া হয়। অথচ তারা দোকানপাট সরিয়ে নেয়নি। তাই আজ পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে সড়ক ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়।
এদিকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে হকাররা ফার্মগেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিকেল ৩টার দিকে খামারবাড়ি মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। সেখানে কয়েকটি গাড়ির ওপর হামলা করতে দেখা গেছে। পরে তারা সেখান থেকে আবার তেজগাঁও কলেজের সামনে মিছিল নিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা বিক্ষোভ করে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে চলে যায়। এরপর সেখানেই দীর্ঘ সময় বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদের। এ সময় মো. সিরাজুল ইসলাম নামে এক হকার বলেন, আমরা পেটের দায়ে রাস্তায় দোকান করি। আমাদের সরিয়ে দিলে কোথায় যাবো। কী করে খাবো, কীভাবে সংসার চালাবো। আগে ফার্মগেটের প্রতিটা দোকান থেকে পুলিশসহ বিভিন্নজন চাঁদা নিতো। তখন কোনও সমস্যা হতো না। এখন কেউ চাঁদা নিচ্ছে না, এখন আমাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তাহলে কী তারা আবার চাঁদা নিতে চায়! এটা হতে দেওয়া হবে না। আমাদের পেটে লাথি দিলে, আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।