মৌচাক মার্কেটে চুরির ৫২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেফতার ৪
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ এএম
রাজধানীর মৌচাক মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরির ঘটনায় চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা-সিআইডি। এছাড়া তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫২ ভরি স্বর্ণ এবং চুরিকৃত স্বর্ণ বিক্রির ৫ লাখ টাকা।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার হিমেল মিয়া, আব্দুর জব্বার, ফারজানা আক্তার ইতি ও মাশফিক আলম।
রোববার সিআইডি সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসএন নজরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার হিমেল চার বছর ধরে মৌচাক মার্কেটের আসিফ জুয়েলার্সে কর্মরত ছিলেন। প্রথমে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেন। বিশ্বস্ততা অর্জনের সুবাদে তিন বছর পর তাকে বিক্রয়কর্মী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে বিক্রয়কর্মী নিয়োগ পাওয়ার পর হিমেল চুরির পরিকল্পনা করেন। এরপর তার দলে ভেড়ান এক নারীসহ আরও তিনজনকে।
৩০ অক্টোবর হিমেলকে আসিফ জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ পাশের আনারকলী মার্কেটের একটি কারখানা থেকে স্বর্ণ আনতে পাঠায়। হিমেল ওই কারখানা থেকে ৫৯ ভরি স্বর্ণ নিয়ে দোকানে না গিয়ে পালিয়ে যান। এরপর তিনি মাশফিক আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। হিমেল উত্তরায় মাশফিকের বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার ইতির কাছে জানান, ২৬ ভরি স্বর্ণ চুরি করেছে। আর ৩৩ ভরি স্বর্ণ হিমেল নিজের কাছে রেখে দেয়। ইতি তাকে উত্তরা পাঠিয়ে ময়মনসিংহে বাড়িতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এদিকে হিমেলকে না পেয়ে আসিফ জুয়েলার্সের মালিক বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা করেন। এরপর সিআইডি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের শনাক্ত করে। মাশফিক ও ইতি শুরুতে ৭ ভরি স্বর্ণ বিক্রি করে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা পায়। যার একটি অংশ দিয়ে তারা নতুন মোবাইল ফোন কেনেন। পরে মাশফিক কক্সবাজার চলে যান। তবে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে। সেখান থেকে স্বর্ণ বিক্রির কিছু টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করে।
ফারজানা আক্তার ইতির বাসায় একটি ডিপ ফ্রিজের ভেতর থেকে আরও ১৯ ভরি স্বর্ণ এবং ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে ইতির বাবা আব্দুর জব্বারকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী গৌরীপুর থেকে হিমেলকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে তদন্তাধীন। গ্রেফতার ব্যক্তিরা ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।