নাশকতার মামলায় শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রনি গ্রেফতার

শ্যামপুর (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৩ পিএম

রাজধানীর শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রনি আলমকে (৩০) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ১০টায় র্যাব-১০ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল শ্রীনগর থানাধীন সানবাড়ী চার রাস্তার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১০ জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ১০টায় শ্রীনগর থানাধীন সানবাড়ী চার রাস্তার মোড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়।নাশকতার মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রনি আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানী বিভিন্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শ্রেণির নেতাকর্মী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। যার অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রামদা, হকি স্টিক, লোহার রড, লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন প্রকার অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন এলাকায় এস আহমেদ নামক একটি সিএনজি পাম্পে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় ওই সন্ত্রাসীরা পাম্পের ২টি তেলের ডিসপেন্সারে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ফেলে।সিসি ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়।এছাড়াও সন্ত্রাসীদের ভাঙচুরে বাধা প্রদান করায় পাম্পে ম্যানেজারসহ একাধিক কর্মচারীদের মারধর করে জখম করা হয়।পরবর্তীতে ওই পাম্পের ম্যানেজার মো. খাইরুল আলম স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় পাম্পের আগুন নিভিয়ে আহতদের চিকিৎসা প্রদান এবং বিষয়টি পাম্পের মালিককে জানান। পরবর্তীতে পাম্পের মালিক ও ম্যানেজার বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে আসামিদের চিহ্নিত করে ২৬ আগস্ট রাজধানীর শ্যামপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রনি আলমসহ ৪৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলার বিষয়টি জানতে পেরে নাশকতাকাণ্ডে জড়িত সব আসামি আত্মগোপনে চলে যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল নাশকতাকাণ্ডে জড়িত পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা বৃদ্ধি করে।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত ১০টায় রনি আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১০ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি রনি আলম ওই ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছেন।তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।