২৪ ঘন্টায় আটক ৩৪
অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠিন অ্যাকশন শুরু: তেজগাঁও ডিসি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫ পিএম

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় সম্প্রতি সময়ে সমালোচিত ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে জেনেভা ক্যাম্প, রায়ের বাজার, চাঁদ উদ্যান ও ঢাকা উদ্যান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
চলমান এই পরিস্থিতিতে মোহাম্মদপুর এলাকা জুড়ে কিশোর অপরাধী ও তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের খোঁজে বের করতে ইতোমধ্যে যৌথ বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। এদের নেপথ্যে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি রুহুল কবির খান।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় আয়োজিত ‘মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় চলমান অভিযানে উদ্ধার ও গ্রেফতার' সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।
ডিসি জানান, কিশোর গ্যাংদের হাতে যেসব অস্ত্র আসে। সেগুলো মূলত কোথায় তৈরি করা হয়? সেসব জায়গায় খোঁজে আমরা মোহাম্মদপুরের শের-শাহ-শুরি রোড থেকে দুজন অস্ত্র বানানো কারিগরকে গ্রেফতার করেছি। তাদের কাছ থেকে আমরা ৪০ টি সামুরাই এবং বিভিন্ন ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করেছি। এছাড়াও বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আমরা ৯ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম আমরা উদ্ধার করেছি। পাশাপাশি, সম্প্রতি রোড ডাকাতির ঘটনায় যদি জড়িত চারজনের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিসি রুহুল কবির খান বলেন, মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং একটি অভিশপ্ত কালচার হিসেবে গড়ে ওঠেছে। কিশোর গ্যাংয়ের এ কালচার বহুদিন ধরে চলমান। গত কয়েকদিনের অভিযানে কিশোর গ্যাং এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের অস্তিত্ব খোঁজে বের করতে এবং এটার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সংশ্লিষ্টতা বা মদদে যারাই জড়িত থাকবে সবার বিরুদ্ধে আমরা নিরপেক্ষভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
সম্প্রতি জেনেভা ক্যাম্পে হত্যাকান্ড মূলত মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও আমরা পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে চেকপোস্ট বসিয়ে কাজ করছি। পাশাপাশি অস্ত্র উদ্ধারে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে আমরা অনেকগুলো অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি।
মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অপরাধ প্রতিরোধে এবং মোহাম্মদপুরবাসীর মধ্যে শান্তি স্বস্তি ও নিরাপত্তা বোধ বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও স্পেশাল অপারেশন ও ব্লক রেড দিচ্ছেন বলে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তেজগাঁও এডিসি মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার প্রমুখ।