ডেল্টা লাইফে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নিরপেক্ষ পরিচালনা পর্ষদ অথবা দ্রুত প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া এবং অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের পুনরায় চাকরিতে বহালের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি কামনা করছেন চাকুরিচ্যুত কর্মচারীরা।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কমিটির মানববন্ধনে ওই দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন, ডেলটা লাইফ ইন্সুরেন্সের চাকুরিচ্যুত কর্মচারী মাহবুব আলম খাঁন, সাবেক কনসালটেন্ট, মঞ্জুরে মাওলা, নুর আলম, মোসা: সাবিনা, তনিমা বেগম সালমা প্রমুখ। এ সময় চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অনেকে মানববন্ধনে অংশ নেয়।
তারা বলেন, ২০২১ সালে আইডিআরএ একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে দুর্নীতি তদন্তের জন্য কয়েকটি অডিট ফার্মকে নিয়োগ প্রদান করেন। অডিট চলাকালীন আইটির দুইজন কর্মকর্তা বীমা গ্রাহকের ডাটা আপডেট ও ডিলিট করে কোটি কোটি টাকার ডাটা কম্পিউটার সার্ভার থেকে মুছে দেয়।
প্রশাসকের তদন্তে ডাটা ডিলিট প্রমাণিত হওয়ায় আইডিআরএ'র কর্মকর্তা ইমদাদ হোসেন বাদি হয়ে গুলশান থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ১০। এই মর্মে মহামান্য হাইকোর্টে রিট থাকাকালীন আপিল বিভাগের শুনানি একপর্যায়ে তৎকালীন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মধ্যস্থতায় রিট মহামান্য আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি না হয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার নামকরণ করা হয় ‘সমঝোতা বোর্ড’। ডেল্টা লাইফের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের এমপি। কোন শেয়ারের মালিক না হয়েও তিনি চেয়ারম্যান পদে আসীন হন এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ফিদা এম কামাল আদালতের নির্দেশে এসেছেন সমঝোতার বোর্ডের দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অডিট পরীক্ষা করার জন্য। পরীক্ষা করতে এসে তিনিও ডেল্টা লাইফের মালিক হয়ে যান।
প্রশাসক থাকাকালীন যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ডেল্টা লাইফের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এবং আইডিআরএ কর্তৃক পাঠানো অডিটরদের সাথে দায়িত্বপালন করার কারণে ১০০ উপরে শ্রম আইনের ২৬ ধারায় চাকুরিচ্যুত ও চাকরি ছাড়তে বাধ্য করে।
তারা আরও বলেন, ডেল্টা লাইফের শেয়ার হোল্ডার, বীমাগ্রাহক, বৈষম্যের স্বীকার কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি, বর্তমান অবৈধ পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নিরপেক্ষ পরিচালনা পর্ষদ অথবা দ্রুত প্রশাসন নিয়োগ দেওয়া এবং অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিবারবর্গের কথা বিবেচনা করে পুনরায় চাকরিতে বহালের জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি কামনা করেন বলে জানান তারা।