বসবাসযোগ্য উত্তরা প্রতিষ্ঠায় এবি পার্টির ৫ প্রস্তাবনা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল উত্তরা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৫ দফা প্রস্তাবনা দিয়ে মানববন্ধন করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা। উত্তরার হাউজ বিল্ডিং মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন এবি পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সদস্য সচিব ও এবি পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. আলতাফ হোসাইন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, নজরুল ইসলাম বাবু, গাজী সাবের, সহকারী সদস্য সচিব হাসান মাহমুদ শাহীন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এনামুল হক, জেসমিন আক্তার মুক্তা, যুব পার্টি মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন গালিব, উত্তরের সদস্য সরোয়ার শোভন, মাহমুদ নাসের ও ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ কায়সার সজীব।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, সদস্য কামরুল হাসান, সামিউল ইসলাম সবুজ, মো. ফয়সাল, তাসলিমা আক্তার রেবা, ফাতেমা সুলতানা জেরিন, আ. রহিম হাওলাদার, যুব পার্টি মহানগর উত্তরের সদস্য ইসরাত জাহান লিজা ও আফরোজ জাহান পিংকি।
বক্তৃতাকালে আলতাফ হোসাইন বলেন, উত্তরা রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার ও অভিজাত এলাকা। মেডিকেল কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকা মানুষ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ ছাড়া অনুন্নত সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যানজটসহ নানা সমস্যায় উত্তরায় জনভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। উত্তরাবাসীর নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন বসবাস নিশ্চিত করতে এবি পার্টির পক্ষ থেকে ৫ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়।
১. ২০২৪ এর ফ্যাসীবাদবিরোধী আন্দোলনে উত্তরা এলাকায় নিহত সব শহিদদের চূড়ান্ত তালিকা দ্রুত প্রকাশ করুন। অবিলম্বে শহিদদের স্মরণে উত্তরা পূর্ব থানার গেট সংলগ্ন স্থানে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করুন।
২ . সব প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ করুন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ইজারার মাধ্যমে আন্তঃজেলা বাসটার্মিনাল, পাইকারি আড়ৎ ও দর্শনীয় স্থান নিয়ন্ত্রণ করুন। যাত্রীদের হয়রানি বন্ধ করুন, যাত্রী সেবায় প্রত্যেক বাস কাউন্টারে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দিন।
৩. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বর্জ্য নিষ্কাশন কার্যক্রম শেষ করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন উত্তরা নিশ্চিত করুন।
৪. সব প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করুন, প্রতিটি থানায় স্পেশাল হেল্পলাইন নাম্বার চালু করুন এবং ভুক্তভোগীর তড়িৎ সহায়তা নিশ্চিত করুন।
৫. ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারীর পথ পরিষ্কার রাখুন, হকারদের পুনর্বাসন করুন। যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ পার্কিংমুক্ত করে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা চালু করুন।