গুমের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাইলেন স্বজনরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৯ এএম
বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। সোমবার বিকালে ‘মায়ের ডাক’ এর উদ্যোগে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ‘গুম : জান ও জবান’ এই অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান তারা।
এ সময় প্রিয়জনের স্মৃতি বর্ণনা করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। গুমের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিও জানান স্বজনরা।
‘গুম জান ও জবান’ প্রদর্শনীতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের দুর্ভোগের নানা গল্প ফুটে ওঠে আলোকচিত্রীর ছবিতে। একটি ছবিতে দেখা যায়, সিসিটিভি ফুটেজে মানুষ উঠিয়ে নেওয়ার দৃশ্য সাদা প্রাইভেটকারে। আরেক ছবিতে মেলে ভারাক্রান্ত চেহারায় অসুস্থ মায়ের অপেক্ষা ছেলের ছবি হাতে। কোনো ছবিতে দেখা যায় মা-ছেলে অপলক তাকিয়ে আছে জানালার দিকে। হয়তো অপেক্ষায় প্রিয় মানুষটি ফেরার।
প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গুমের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে যদি ভবিষ্যতে একটি গুমের ঘটনা হয়, একটি বিচারবর্হিভূত ঘটনা হয়, অবৈধ আটকাদেশের ঘটনা হয়, আমরা তাদের পাশে থাকব। গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের লড়াইয়ে স্বজনদের পাশে থাকবে বিএনপি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা গুমের ঘটনার সঙ্গে দায়ী, যারা গুম করেছে, হত্যা করেছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করুন। তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন করুন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি নিজেই গুম ছিলাম, কবর থেকে বেরিয়ে আসা একজন মানুষ। আমাদের দেশ থেকে চিরতরে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করার জন্য কাজ করতে হবে। আপনারা যারা এখনো স্বজনদের ফিরে পান নাই, আপনারা তো জিন্দা লাশ।’
সরকারে উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, যারা গুমের সংস্কৃতির ধারক, বাহক, যারা গুম করেছে, হত্যা করেছে তারা কারা আপনারা ও বাংলাদেশের জনগণ জানেন। জিয়াউল হাসান, বেনজীর, মনিরুল, ডিবি হারুণ, বিপ্লব, মেহেদীসহ যারা আছে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। দ্রুত এদের বিচার করতে হবে।
এ সময় বক্তৃতা করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আলোকচিত্রী মোশফিকুর রহমান জোহান প্রমুখ।