বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন
শহিদ মিনারে কারিমুলের জানাজা অনুষ্ঠিত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারীমুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম।
সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে কারীমুল ইসলামের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় ইমামতি করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ। জানাজা শেষে কারিমুলের লাশ দাফনের জন্য গ্রামে নিয়ে যান তার স্বজনরা।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী যুব আন্দোলন জানিয়েছে, মৃত কারীমুল ইসলাম সংগঠনটির হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার লাখাই ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, অর্থ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জানাজার আগে দেওয়া বক্তব্যে কারীমুল ইসলামের পরিবারের পক্ষে তার খালু বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, কারীমুলের পরিবারে সেই ছিল কর্মক্ষম ব্যক্তি। তার বাবাও বেঁচে নেই। কিন্তু স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সে জীবনের মায়া ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আজ পরিবারে তার মা, ভাই-বোনেরা তাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। তাকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও তার পেটুয়া বাহিনীর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় তিনি কারীমুলের পরিবারের উপযুক্ত কাউকে সরকারী চাকুরি ও সহযোগিতার আবেদন জানান।
কারীমুল ইসলামের পরিবার জানায়, কারিমুল যাত্রাবাড়ী কাঁচামালের আড়তে কাজ করতেন। গত ৫ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে মিছিলে যায়। মিছিলটি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় যাওয়া মাত্রই পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয় সে। পরে তাকে দ্রুত ঢামেকে আনা হলে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।