দিনভর বৃষ্টিতে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দিনভর রাজধানীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। কখনো হালকা, কখনো মাঝারি এবং কখনো মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বাতাসও। এতে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। আর রোজগার হয়নি বলে বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ায় শনিবার সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে ছিল। জলাবদ্ধ এসব সড়কে চলাচলে রীতিমতো নাকাল হতে হয়েছে নগরবাসীকে। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় ভোগান্তির শঙ্কায় অনেকে বাইরে কাজ থাকলেও বের হননি। অনেকে বের হয়ে ভিজে একাকার হয়েছেন।
মালিবাগের বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ভোর সাড়ে ৬টায় উত্তরায় জরুরি একটি কাজ ছিল। ভোরে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় নেমে দেখি হাঁটুপানি। রিকশার অপেক্ষায় আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো রিকশা পাইনি। ভেবেছিলাম, একটি রিকশায় প্রধান সড়ক পর্যন্ত যাব, তারপর সেখান থেকে বাসে চড়ব। কিন্তু বাসার সামনের রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় আর বের হতে পারিনি। সকালে ঠাণ্ডার মধ্যে রাস্তায় জমে থাকা ময়লা পানি মাড়িয়ে বের হতে মনও সায় দেয়নি।
সরেজমিন আরও দেখা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, সংসদ ভবন, মহাখালী, বনানী, উত্তরা, কুড়িল, বাড্ডা, গুলশান, রামপুরা, কাওরানবাজার এলাকার সড়কেও পানি জমেছে। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসে ছিল শীতল পরশ। এজন্য বাইরে মানুষের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে।
উত্তরার আজমপুর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় মমিনুল হকের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে জানান, মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে ভোরে রওনা হয়ে উত্তরায় পৌঁছান সকাল সাড়ে ৬টায়। বৃষ্টি ও বাতাস থাকায় তিনি সিএনজি অটোরিকশায় উত্তরায় গেছেন। মোহাম্মদপুর থেকে সাধারণ সময়ে তিন থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা ভাড়া হলেও বৃষ্টি থাকায় তাকে ৪০০ গুনতে হয়েছে।
এদিকে শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আরও দেখা গেছে, স্বাভাবিক দিনের চেয়ে বাইরে মানুষের উপস্থিতি ছিল অর্ধেকেরও কম। মার্কেট, দোকানপাট ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে সেসব জায়গায় মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। চা, পান, সিগারেটের দোকানগুলোতে খেটে খাওয়া মানুষকে বসে খোশগল্প করে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।