রাজধানীতে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
রাজধানীর গুলশানে সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে গুলশান থানা জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।
রোববার সন্ধ্যায় গুলশানের নর্দ্দায় একটি স্কুলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গুলশান থানার উদ্যোগে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর গুলশান থানার শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা ওমর ফারুক। মতবিনিময় সভায় গুলশান, নর্দ্দা ও কালাচাঁদপুরের সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা অংশ নেয়।
সভার শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, ছাত্র-জনতার ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতায় তাদের ভূমিকা অনিস্বীকার্য। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতায় দেশ ও জাতি গঠনে দল-মত ও জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সম্মিলিত করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। নিজেদের ঐক্যের মাধ্যমে জাতিকে গড়ে তুলার অঙ্গীকার করা হয়।
মতবিনিময় সভায় দেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ও সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ফেনীসহ দেশের ১২টি জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যার জন্য ভারত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী। প্রায় অর্ধকোটি মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ভারত বাঁধ খুলে দিয়ে রাজনৈতিক বন্যা তৈরি করেছে। প্রতিবেশী দেশের কাছে এ ধরনের অন্যায় ও অমানবিক আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। বন্যা কবলিত মানুষকে উদ্ধারের জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে বিত্তবানদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
সম্মিলিতভাবে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে গুরুত্বারোপ করা হয় সভায়।
সভায় বক্তারা বলেন, সব ধর্মের ঐক্য ছাড়া জাতি এগোতে পারবে না। জগদ্দল পাথর এক স্বৈরশাসক ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে যেমন টিকতে পারেনি, তেমনি আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র টিকতে পারবেনা। ছাত্র-জনতা সবাই যার যার অবস্থান থেকে সঠিক দায়িত্ব পালন করলে আমাদের এ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর ভবিষ্যতে আর কেউ আঘাত করতে পারবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গুলশান পূর্ব থানার আমীর জিল্লুর রহমান, সেক্রেটারি ফাহিম আব্দুল্লাহ।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন- ইব্রাহিম খলিল, আব্দুল বাতেন, ফারুক হোসেন, তোফায়েল আহমেদ তুষার, কাজী আমিনুল ইসলাম, খালিদ হাসান, মিনহাজ বিন মোর্শেদসহ শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্যরা।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গুলশান পূর্ব থানার আমির জিল্লুর রহমান জানান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই এ দেশের নাগরিক। আমাদের দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, বরং আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং আমরা পরস্পর ভাই ভাই। আপনাদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় জামায়াতে ইসলামী বিগত দিনের ন্যায় তাদের পাশে ছিলো, রয়েছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে।