চাকরি জাতীয়করণ না হলে সিএইচসিপিদের ঘরে না ফেরার প্রত্যয়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৩:২২ এএম
ছবি সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৩ বছর একই বেতনে চাকরি করে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে না ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে সারা দেশ থেকে আসা ১৪ হাজার সিএইচসিপি পূর্বঘোষণা অনুযায়ী লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসাবে এ দাবি জানান।
সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, সিএইচসিপিদের সেবাদান জাতিসংঘের স্বীকৃতি ও পুরস্কারসহ স্বাস্থ্যসেবায় সারা বিশ্বে রোল মডেল হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সুনাম বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে পড়লেও ১৩ বছরে ১৪ হাজার সিএইচসিপির এক টাকাও বেতন বাড়েনি। এখন তাদের প্রধান দাবি দ্রুতসময়ের মধ্যে সবার চাকরি রাজস্ব খাতে নিতে হবে।
তিনি বলেন, কর্মসূচির অংশ হিসাবে আমরা মঙ্গলবার (আজ) দুপুরে শাহবাগ থেকে যাত্রা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনে যাব। সেখানে তার হাতে স্মারকলিপি দিয়ে দাবিদাওয়া জানানো হবে।
অ্যাসোসিয়েশনের হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. আব্দুর রশীদ বলেন, বিগত সরকার সিএইচসিপিদের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে। চাকরি ১৪তম গ্রেডে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন অপারেশনাল প্ল্যানে (ওপি) নেয়। রাজস্বকরণের প্রক্রিয়া হিসাবে চাকরি বহি (সার্ভিস বুক) এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খোলা হয়।
এরপর অজানা কারণে ২০১৬ সালে সরকার ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিলে সিএইচসিপিরা হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট সিএইচসিপিদের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়ার রায় দিলে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। পরে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে ট্রাস্টে ন্যস্ত করে। কিন্তু ট্রাস্ট আইন পাশ হলেও দীর্ঘ ৬ বছরে কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি।
পীরগাছা (রংপুর) দাদন কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রাজিয়া সুলতানা বলেন, রাজস্বকরণের চিঠি পেয়ে সিএইচসিপিরা অন্য চাকরির চেষ্টা করেনি। বর্তমানে সবার চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে। এদিকে স্বল্প বেতন, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী চাকরিতে যোগদানের শুরু থেকে ইনক্রিমেন্টসহ বকেয়া দিতে হবে। একই সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ দুর্নীতিবাজদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে।