৪ বছর ধরে ভিটেমাটি ছাড়া কৃষক পরিবার, সম্পদ ফিরে পাওয়ার আকুতি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫০ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতার রোষানলে পড়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল তেতৈয়া এলাকার এক কৃষক পরিবার ৪ বছর ধরে ভিটেমাটি ছাড়া রয়েছে। বাপ-দাদার সম্পত্তি ফেরত পেতে বিভিন্ন দপ্তরে আকুতি জানিয়ে ধরনা দিয়েও কাজ হয়নি। তাই দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সড়কে অবস্থান নিয়েছে পরিবারটি। এতে ভিটেমাটি ফেরত পেতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কৃষক দিদারুল আলম বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর কাশেম ও তার সহযোগী ইমতিয়াজ, আবছার মিয়া, ফয়েজউল্লাহ মেম্বার, রবিউল্লাহ, সরোয়ার কামাল, ইশতিয়াক মিয়া ২০২১ সালের জানুয়ারিতে আমি ও আমার পরিবারকে মারধর এবং হেনস্থা করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বাড়িঘর লুটপাট করে ও ভিটেবাড়ি ভেঙে দিয়ে ভিটেসংলগ্ন ধানচাষ-মাছচাষের ৫ একর পৈত্রিক জমিজমা দখল করে নেয়। ভূমিদস্যুরা বিগত ক্ষমতাসীন দলের কিছু দুর্নীতিবাজ নেতার ছত্রছায়ায় এ কাজ করে এবং ব্যাপক প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে এলাকাবাসী নীরব ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, নিজের ভিটেবাড়ি ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিয়ে বিচার না পেয়ে ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ভবনের সামনে অনশন ধর্মঘট করি। অনশনের ২য় দিন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আল আমিন পারভেজ অনশন ভঙ্গ করান। কিন্তু গত ৪ বছরে আমি কোনো বিচার পাইনি, এমনকি তারা আমার জীবননাশের হুমকি দেওয়ায় ২ বছর পরিবারসহ পালিয়ে বেড়াই। এ সময় তারা আমার বাবার ওপর কয়েকবার হামলা ও আহত করে। সদর থানায় জিডি করে পুলিশের আশ্বাসে ভাইয়ের বাড়িতে সপরিবারে আশ্রয় নিয়ে সবকিছু হারিয়ে এখন আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি।
দিদারুল আলম বলেন, আমার বসতবাড়ি লুটপাটকারীরা প্রত্যেকেই একাধিক মামলার আসামি এবং অনেকেই ইয়াবা ব্যবসা, ধর্ষণ, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলার আসামি। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করে বিচার চাওয়াতে এরা আমার ও পরিবারের ওপর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সপরিবারে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়ে আসছে।
দখল হওয়া ভিটেমাটি ফেরত পেতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীলদের হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি।