বেপরোয়া মস্তান রাসেল, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যুগান্তর সাংবাদিকের ওপর হামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১০:২০ পিএম
অভিযুক্ত মাহমুদুল আসাদ রাসেল রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম। অভিযুক্ত মাহমুদুল আসাদ রাসেল রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সে সবার কাছে সবার কাছে মস্তান রাসেল হিসাবে পরিচিত। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে সোমবার দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন শেষে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রফিকুল ইসলাম সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যান।
বৈঠক শেষে মন্ত্রীরা বের হওয়ার সময় এক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় তার (সাংবাদিকের) ওপর অতর্কিত হামলা করে রাসেল এবং তার সঙ্গে থাকা ক্যাডার বাহিনীর কয়েক সদস্য।
রফিকুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের কথাবার্তা ছাড়াই রাসেল ও তার ক্যাডার বাহিনী আমাকে উপর্যুপরি কিল-ঘুসি দিতে থাকে। এ সময় উপস্থিত কয়েক সাংবাদিক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। পরে আওয়ামী লীগের দুজন কেন্দ্রীয় নেতা এগিয়ে আসার পরে রাসেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সরে পড়ে। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে রফিকুল বলেন, এ ঘটনা আওয়ামী লীগের দপ্তর এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের জানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহমুদুল আসাদ রাসেল রাজবাড়ী জেলার নেতা হলেও বসবাস করেন ঢাকায়। সার্বক্ষণিক অবস্থান করে আওয়ামী লীগ অফিসে। দলের এক সিনিয়র নেতাকে দেন বিশেষ প্রটোকল। ওই নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেছেন ‘বিশেষ প্রটোকল’ বাহিনী। এই বাহিনীর মাধ্যমে চলে ‘মস্তানি’। তার বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য, দলীয় নেতাকর্মী এবং পেশাদার সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সারা দেশে থেকে ধানমন্ডির কার্যালয়ে আগত নেতাকর্মীর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে রাসেল। আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কর্মরতরাও অনেকেই তার ওপর নানা কারণে ক্ষুব্ধ। সর্বশেষ সোমবার রাসেলের হামলার শিকার হলেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম।