বণীর যুদ্ধ ছিল মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরি করা: সাইফুল আলম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেছেন, নাসিম সাদিক বণীর যুদ্ধ ছিল মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরি করা। বণী তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে হাজার বছর বেঁচে থাকবেন।
শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদের হাট খুলনা জেলা শাখার সভাপতি নাসিম সাদিক বণীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভার আয়োজন করে চাঁদের হাট কেন্দ্রীয় কমিটি।
সংগঠনের সভাপতি কবি ও কথাশিল্পী মোস্তবা আহমেদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফদি আহমেদের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন- সংগঠনের উপদেষ্টা আল তারেক, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম পারভেজ, ইয়াহিয়া সোহেল, অধ্যাপিকা শায়লা রহমান, মাসুদ পারভেজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বণীর স্বামী সাদিক মাহতাব ও সন্তান সাদিকাতুন নাসিম অর্ক।
সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, বণী একবুক ভালোবাসার নাম। একজন প্রতিবাদী মানুষ ও একজন দক্ষ সংগঠকের নাম। তিনি একাধারে একজন গায়ক, গীতিকার, চারুশিল্পী একজন চমৎকার মানুষ ছিলেন। সহজে মানুষকে আপন করে নেওয়ার তার একটা বিশেষ গুণ ছিল। বাংলাদেশের চাঁদের হাটের সদস্যরা বণীর আপনজন ছিল।
বণীর বাবা-মা অত্যন্ত বিদগ্ধজন ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা অত্যন্ত মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন একটি পরিবার ছিলেন। প্রচুর সমাজসেবামূলক কাজ তারা করেছেন। বণীর পিতা কবি নাসির উদ্দিন দক্ষিণাঞ্চলে একজন পরিচিত সাংবাদিক ছিলেন। তৎকালীন সময়ে তিনি অসংখ্য পত্রপত্রিকায় দায়িত্ব পালন করেছেন। চাঁদের হাটের শ্লোগান অনুযায়ী বণীর পরিবার ছিল একটি মিষ্টি পরিবার। ছোটদের প্রতিভা বিকাশে বণী বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের শিশু সংগঠনে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। সারা বাংলাদেশের শিশুদের বিকশিত করার জন্য বণী নিজেকে নিবেদিত করেছিলেন। এই সময়ে অনেক অনেক বণীর দরকার।
ছোটদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ রুদ্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে সাইফুল আলম বলেন, আজকে আমরা শিশুদের কথা ভাবি না।শিল্প সংস্কৃতির কথা ভাবি না। তথ্যপ্রযুক্তির কারণে আমরা বিচ্ছিন্ন সমাজে বসবাস করছি। সেখানে আত্মীয়তার বন্ধনগুলো থাকছে না।কেউ কাউকে চিনছে না। ক্রমেই সামাজিক বন্ধনগুলো ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
শিশু-কিশোর সংগঠনগুলো হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আমরা শিশুদের কথা ভাবি না।খেলার মাঠগুলো হারিয়ে গেছে। উঁচু দালানের মধ্যে ঢাকা শহরে বসে এখন আর চাঁদের আলো দেখা যায় না। দেয়ালিকা লিটল ম্যাগাজিনসহ শিশু-কিশোরদের বিকশিত হওয়ার পথগুলো একে একে আমরা রুদ্ধ করে দিয়েছি, বন্ধ করে দিয়েছি। ঘরের মধ্যে মোবাইল আর কম্পিউটার নিয়ে আমরা এখন অন্য পৃথিবীতে বসবাস করছি।শিল্প সংস্কৃতি পরিপূর্ণ প্রজন্ম গড়তে হলে শিশু-কিশোর সংগঠনগুলোকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন যুগান্তর সম্পাদক।