রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রামচন্দ্রপুর খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা খামার উচ্ছেদ করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে লাপাত্তা রয়েছে সমালোচিত সেই সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন।
অবৈধভাবে খাল ও সড়ক দখল করে গড়ে তোলা গরুর খামারে উচ্ছেদ শুরু হওয়ার পর থেকেই লাপাত্তা রয়েছেন সাদিক এগ্রোর মালিক। তার মালিকাধীন খামার উচ্ছেদ হলেও উচ্ছেদ চলাকালীন সময় কিংবা তার পরে বা আগে খামারে তাকে দেখা যায় নি।
তবে, প্রভাবশালী এই গরু ব্যবসায়ীকে অভিযানের আশপাশেও দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন তাও জানা যায়নি। দফায় দফায় তার ব্যাক্তিগত মুঠোফোন নাম্বারে ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।
আগে থেকে উচ্ছেদের কথা প্রকাশ পাওয়ায় বংশীয় গরুসহ বেশিরভাগ পশু আগেভাগে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও আলোচিত সেই ছাগলসহ আরও কিছু পশু উচ্ছেদের সময়ও সাদিক অ্যাগ্রোতে দেখা গেছে।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে একটি পেলোডার, একটি হুইল এক্সক্ভেটর, তিনটি বেক-হো লোডার নিয়ে হাজির হন সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উল্লেখ্য, এবারের কোরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে কোটি টাকা দামের বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকা ছাগলের দাম হাঁকিয়ে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সাদেক এগ্রোর মালিক ইমরানকে।