এবারের কুরবানির ঈদে ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো এক ছাগল নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ। সেই ছাগলে তছনছ করে দিয়েছে সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান সাজানো হাজার কোটি টাকার বাগান। যাকে নিয়ে এই ছাগলকাণ্ড, সেই ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত এই ঘটনার পর দুই দফা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আলোচিত এই ছাগল থেকে রেহাই পায়নি খোদ ‘সাদিক এগ্রো’ নামের সেই খামারও।
আজ বৃহস্পতিবার সেই খামার উচ্ছেদের মাধ্যমে তার সলিল সমাধি ঘটে। তবে এত কাণ্ড যে ছাগলকে নিয়ে সেই ছাগল এখন কোথায় আছে?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনও অবিক্রিত রয়ে গেছে ৬২ ইঞ্চি উচ্চতার ওই ছাগলটি। এত বিশাল আকৃতির ছাগল সাধারণত দেশে সচরাচর দেখা যায় না। ঈদের সময় এই ছাগলের ওজন ছিল প্রায় ১৭৫ কেজি। খামারের লোকজন বলছে, এখন ওজন কিছুটা কমেছে।
ছাগলটির দাম ১৫ লাখ টাকা চাওয়ার পেছনে খামারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল— ‘উন্নত জাত ও উচ্চ বংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন’। বিদেশি ব্রিটল জাতের ছাগল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছিল।
তবে এই ছাগলের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে খামারের কেউ পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে চাননি। তারা শুধু এটুকু বলেন, ছাগলটি বিক্রি হয়নি, খামারেই আছে।
এদিকে গতকাল বুধবার খামারের একজন কর্মচারী নিজেকে সাদিক এগ্রোর ম্যানেজার দাবি করে ছাগলটি সম্পর্কে বলেন, ছাগলটির পেছনে দৈনিক হাজার খানেক টাকার মতো খরচ হয়। ছাগলকে কী খাওয়ানো হয়, জানতে চাইলে এক কথায় তার উত্তর ছিল, ‘পুষ্টিকর খাবার’। এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।
যেই ছাগলটার দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকানো হয়েছে, তার আদৌ এমন দামের যৌক্তিকতা আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা খামার মালিক জানেন’। তবে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনের সঙ্গে।