যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর পরই মিরপুরের অবৈধ ছাগলের হাট বন্ধ
মিরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে রাজধানীর মিরপুরের অবৈধ ছাগলের হাট। যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর পরই রোববার বিকালে পুলিশ অবৈধ ছাগলের হাটটি বন্ধ করে দিয়েছে। আর হাট বসিয়ে হাসিল আদায়ের অভিযোগে মোটরচালক লীগ নেতা আরিফকেও আটক করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিরপুর জোনের এডিসি মাসুক মিয়া। তিনি বলেন, হাট নিয়ে যুগান্তরের প্রতিবেদনটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১ জনকে আটকও করা হয়েছে।
রোববার যুগান্তরের অনলাইনে ‘মিরপুরে অবৈধ ছাগলের হাট, হাসিল আদায়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর মিরপুরে অবৈধ ছাগলের হাট বসিয়ে হাসিল আদায়ের অভিযোগ ওঠে আরিফ নামে এক মোটরচালক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। হাসিল আদায়ের জন্য ওই নেতা রাস্তার ওপর একটি অস্থায়ী হাসিল ঘর বানিয়ে ছিলেন। আরিফ কাফরুল থানা মোটরচালক লীগের সভাপতি।
লোকজন হাট থেকে ছাগল কিনে টাকার বিনিময়ে হাসিল কাটছেন। শতকরা ৫ টাকা হারে হাসিল কাটা হয়। ওই মোটরচালক লীগ নেতাকে এই কাজে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ ও সরকারদলীয় লোকজন।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ম্যানেজ করেই অবৈধ ছাগলের হাটটি বসানো হয়েছে।
রোববার সরেজমিন মিরপুর ১৩ নম্বর হারমেইনার স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ওপর গড়ে উঠা এই অবৈধ হাটে কয়েকশ ছাগল রয়েছে। এই হাটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হারমানমেইনার স্কুল ছোট ছাগলের হাট’। গত ২ দিন আগে হাটটি দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। হাটে ক্রেতাদের অনেক ভিড়। কেউ হাসিল দিতে না চাইলে তাকে ধরে নিয়ে জোর করে হাসিল কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল মজুমদার বলেন, ঢাকা শহরের অনেক এলাকায় খোলা জায়গায় ছাগল বিক্রি হয়। অনেকে হাটে না গিয়ে সেখান থেকে ছাগল কেনেন। কোনো হাসিল কাটা লাগে না। কারণ সিটি করপোরেশনের জায়গা। কিন্তু এখানে অবৈধভাবে টাকা নেওয়া হয় যা এক প্রকার চাঁদাবাজি।
হাটের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে মোটরচালক লীগ নেতা আরিফ বলেন, হাট থেকে ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ২টি ছাগল দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি অবগত।
ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা বলেন, ছাগলের হাটটি দলীয় লোকজন দেখাশুনা করছে। তবে হাসিল আদায়ের ব্যাপারে তিনি অবগত নন।