Logo
Logo
×

রাজধানী

সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে আহত দুই

Icon

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম

সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে আহত দুই

সদরঘাট টার্মিনালে নোঙর করার সময় একটি লঞ্চের ধাক্কায় আরেকটি লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে এক যাত্রী ও লঞ্চের এক কেরানী আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে সদরঘাট টার্মিনালের ৩ নম্বর পন্টুনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, এমভি আল সাফিন-সাত্তার খান লঞ্চের কেরানী সুমন মিয়া (৪২) ও লঞ্চের যাত্রী সুমন খান (৩৫)। কেরানী মাথায় ও যাত্রী বুকে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা করান।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন বিকালে সদরঘাটে বাঁধা একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছিলেন।

জানা গেছে, সদরঘাটের ৩ নম্বর পন্টুনে পটুয়াখালীগামী এমভি আল সাফিন-সাত্তার খান নামের একটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। সকাল পৌনে আটটার দিকে এমভি প্রিন্স রায়হান-১ নামের আরেকটি লঞ্চ সাত্তার খান লঞ্চকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পন্টুনে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন পন্টুনের সঙ্গে বাঁধা সাত্তার খান লঞ্চের রশি ছিঁড়ে লঞ্চের প্রবেশমুখে অপেক্ষমান কেরানি সুমন মিয়া ও যাত্রী সুমন খানকে আঘাত করে। এতে সুমন মিয়া মাথায় ও সুমন খান বুকে গুরুতর আঘাত পান।

এমভি আল সাফিন-সাত্তার খান লঞ্চের পরিচালক হানিফ মিয়া বলেন, এমভি প্রিন্স রায়হান-১ লঞ্চ নোঙর করার সময় আমাদের লঞ্চটিকে জোরে ধাক্কা দিলে পন্টুনে বাঁধা রশি ছিঁড়ে যায়। এতে কেরানী ও এক যাত্রী আঘাত পেয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে এমভি প্রিন্স রায়হান-১ লঞ্চের ব্যবস্থাপক নজরুল ব্যাপারী তাদের লঞ্চের ধাক্কায় রশি ছিঁড়েনি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে আমাদের লঞ্চটি নোঙর করছিলাম। আমাদের লঞ্চের ধাক্কায় রশি ছিঁড়েনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।

আহত যাত্রী সুমন খান বলেন, দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে লঞ্চে ওঠার সময় আল সাফিন লঞ্চের রশি ছিঁড়ে সরাসরি আমার বুকে লাগে। আমির লঞ্চের পড়ে যাই। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই দাবি জানান তিনি।

নৌ-পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হাসান বলেন, লঞ্চের রশি ছিঁড়ে আহত হওয়ার ব্যাপারে তারা কোনো অভিযোগ পাননি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

টার্মিনালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। আহত দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম