নিপসমের সাইন্টিফিক সেমিনার
জাতীয় পরিকল্পনাবাস্তবায়ন ছাড়া ডেঙ্গুনিয়ন্ত্রণ অসম্ভব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
দিন যত যাচ্ছে দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল ততই বড় হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারের প্রণীত ‘ন্যাশনাল স্ট্রাটেজক প্লান তথা জাতীয় কৌশল পরিকল্পনা’ অনুযায়ী সব পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহাখালীতে রোববার ‘জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) আয়োজিত ‘ম্যানেজমেন্ট অফ এডিস মসকুইটো : হলিস্টিক পাবলিক হেলথ এপ্রোচে’ শীর্ষক সায়েন্টিফিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিপসমের এন্টোমোলোজি (কীটতত্ত্ব) বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ছারোয়ার। মূল প্রবন্ধে তিনি সাম্প্র্রতিক ডেঙ্গু ভয়াবহতায় এর বাহক এডিস মশা দমন বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর জন্য দায়ী এডিস মশা নিধনে ‘ন্যাশনাল স্ট্রাটেজক প্লান’ করা হয়েছে। এখন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সব ধরনের পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগ জরুরি হয়ে পড়ছে। পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারলে ডেঙ্গুর সংকট মোকাবিলা সহজ হবে না।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গাজীপুর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, মশা জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে দায়ী জিনকে এলিমিনেট বা সাপ্রেস করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। এ বিষয়ে গবেষণাগার প্রয়োজন। নিপসমকে উচ্চতর প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণার সেন্টার হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. নজরুল ইসলাম বলেন, মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করে মশার ঘনত্ব সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। এতে সচেতনতার বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, সব সুপারিশের ভিত্তিতে প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে জোর প্রচেষ্টা চলছে। নিপসমসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি )এবং এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাই একসঙ্গে কাজ করব।